২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের তালিকা প্রকাশ করেছে নিউইয়র্কভিত্তিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের অধিকার নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান অ্যাকসেস নাউ। যেখানে তালিকার শীর্ষে আছে ভারত। আর পঞ্চম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
গত মঙ্গলবার অ্যাকসেস নাউ ‘নিয়ন্ত্রণের অস্ত্র, দায়মুক্তির ঢাল’ শিরোনামে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, পরীক্ষা, নির্বাচন, রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ বিভিন্ন জাতীয় পর্যায়ের বড় কোনো ইস্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। অনেক দেশের সরকার ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার পথ বেছে নিয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বছর ৩৫টি দেশে ১৮৭ বার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বার (৮৪ বার) ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভারতে। তালিকায় এরপর আছে ইউক্রেন (২২ বার), ইরান (১৮ বার), মিয়ানমার (৭ বার) ও বাংলাদেশ (৬ বার)।
অ্যাকসেস নাউ এর প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিক্ষোভ দমনের জন্য সবচেয়ে বেশিবার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে, এমন ১৪টি দেশে ৪৮ বার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের ঘটনা ঘটে।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ইন্টারনেট বন্ধের কারণ যা-ই হোক না কেন, তা মানুষের মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন করে।