fbpx

ইন্দোনেশিয়ার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার চেয়েও ভয়ংকর!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় দৈনিক গড়ে ৫০ হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু হচ্ছে দেড় হাজারের মতো। আর দেশটি এখন ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ‘উর্বরভূমি’ হয়ে উঠেছে। গত সপ্তাহে দৈনিক আক্রান্তের হারে ভারত ও ব্রাজিলকে অতিক্রম করেছে ইন্দোনেশিয়া।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) দেশটিতে নতুন রোগী শনাক্ত ৪৯ হাজার ৫০০ জনের বেশি এবং ওই একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪৪৯ জনের।

বিশ্বের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নতুন ভ্যারিয়েন্ট সবসময় এমন অঞ্চল বা দেশগুলোতে শুরু হয়, যারা সহজে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আর ইন্দোনেশিয়াতে মহামারির বর্তমান গতি ও আক্রান্তের হার যা দেখা যাচ্ছে, তাতে দেশটি নতুন কোভিড ধরনের উৎপত্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। যা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় আরও বেশি মারাত্মক হতে পারে বলেও জানিয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, যদি পাঁচ শতাংশের বেশি করোনা টেস্টের ফলাফল পজিটিভ হয়, তাহলে মহামারি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে, ইন্দোনেশিয়ায় করোনা মহামারি শুরুর হওয়ার পর আক্রান্তের হার ১০ শতাংশের বেশি ছিল প্রায় ১৬ মাস ধরে! যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাংশে। তাই বিশেষজ্ঞরা সহজেই অনুমান করছেন, ইন্দোনেশিয়ায় করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বা সুপার ভ্যারিয়েন্ট তৈরির যথেষ্ঠ আশঙ্কা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দু’টি গবেষক দল ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, দেশটিতে নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের আশঙ্কা রয়েছে। ভাইরাস যত বেশি ছড়ায়, তত বেশি নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি ত্বরান্বিত হয়।

এদিকে, ইন্দোনেশিয়ায় এবার ঈদুল আজহার কারণে করোনাভাইরাস আরও বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে এরইমধ্যে উঠে এসেছে। এর আগে, ঈদুল ফিতরের পর সংক্রমণ অনেকাংশে বেড়েছিল, বেড়েছিল মৃত্যুও। এবারও তেমনটি হওয়ার প্রবণতাই বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

করোনাভাইরাসের প্রকোপে এই মুহূর্তে ইন্দোনেশিয়ায় দেশব্যাপী ভ্রমণে চলছে নিষেধাজ্ঞা। ছুটির সপ্তাহের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে করোনাভাইরাস বিষয়ক টাস্কফোর্স। দেশটিতে চলমান লকডাউনও বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি, করোনা মোকাবেলায় সারাদেশে নিরাপত্তা বাহিনীও মোতায়েন করেছে দেশটির সরকার।

এই মুহূর্তে বিশ্বের চারটি ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্নের মধ্যে রয়েছে ‘আলফা’ ভ্যারিয়েন্ট। যুক্তরাজ্যে প্রথমে এটি আবিষ্কার হয়। এরপর ‘বেটা ভ্যারিয়েন্ট’ আবিষ্কার হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। তারপর ‘ডেল্টা’ ভ্যারিয়েন্ট আবিষ্কার হয় ভারতে এবং ‘গামা’ ভ্যারিয়েন্ট আবিষ্কার হয় ব্রাজিলে।

এরইমধ্যে ‘গামা’ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে ‘আলফা’ ভ্যারিয়েন্ট এখনো সক্রিয় রয়েছে। যদিও ‘ডেল্টা’ ভ্যারিয়েন্টের তীব্রতা এখন পর্যন্ত সেখানে সবচেয়ে বেশি। এই সবগুলো ধরন মিলে একটি স্বতন্ত্র ধরন যদি তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি হবে আরও ভয়াবহ। আর তা বিশ্বের অন্য দেশে ছড়িয়ে গেলে সেখানকার পরিস্থিতিও ভয়াবহ হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply