পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে সোমবার অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের কথা রয়েছে।
দেশটির সংবাদ সংস্থা ডন জানিয়েছে, সোমবার যদি স্পিকার আসাদ কায়সার প্রস্তাবটি অনুমোদন দেন তাহলে আগামী ৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে পারে অনাস্থা ভোট।
এর মধ্যেই রবিবার, রাজধানী ইসলামাবাদের প্যারেড ময়দানে গণ সমাবেশ করে তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। সমাবেশে দেয়া ভাষণে প্রধাণমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করেন, বিদেশি অর্থের সাহায্যে পাকিস্তানের সরকার বদলের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার ন্যাশনাল অ্যাম্বাসিতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। তবে পার্লামেন্টের এক সদস্য মারা যাওয়ার কারণে শোক প্রস্তাব ও তার শান্তি কামনায় ২৮ মার্চ পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করা হয়েছে।
৮ মার্চ বিরোধী দলের জোটের পক্ষ থেকে ইমারন খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। তাদের দাবি, পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন ইমরান খান। তার দল পিটিআই-এর অনেক সদস্যও এখন তার পাশে নেই। এমনকি তার সরকারের জোট শরীকেরাও বিরোধী দলের প্রতিই ঝুঁকছে।
৩৪২ সদস্যের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা ভোটে জিততে ইমরান খানকে অন্তত ১৭২ ভোট পেতে হবে। তার নিজের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ -পিটিআই-এর সদস্য আছেন ১৫৫ জন। অর্থাৎ ইমারান খানকে জয়ী হতে নিজের দলের সদস্যদের ছাড়াও অন্যদলের অন্তত ১৭টি ভোট বাগাতে হবে।