ইরানের শীর্ষস্থানীয় পদার্থবিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদে’র হত্যাকাণ্ডে ইহুদিবাদী গোয়েন্দা সংস্থা – মোসাদের হাত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
একজন ইসরাইলি সাংবাদিকের পোস্ট রি-টুইট করে ট্রাম্প নিজের অফিসিয়াল টু্ইটার পেইজে ইরানি বিজ্ঞানী হত্যায় তেল আবিবের হাত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে ‘ইরানের বোমার জনক’ হিসেবে খ্যাত অন্যতম শীর্ষ পরমাণুবিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদে’কে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার রি-টুইটে আরো লিখেছেন, ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা (মোসাদ) বহু বছর ধরে ফাখরিজাদে’কে হত্যার চেষ্টা করে আসছিল।
মোহসেন ফাখরিজাদকে ট্রাম্প তার ভাষায় ইরানের ‘পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি’র কারিগর বলেও দাবি করেছেন। এদিকে, ইরান নিজের পরমাণু কর্মসূচিকে সব সময় বেসামরিক হিসেবে উল্লেখ করে বলেছে, তেহরানের কোনো পরিকল্পনাই নেই পরমাণু অস্ত্র তৈরির।
অপরদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ তার অফিসিয়াল টুইটার পেজে লিখেছেন, পদার্থবিজ্ঞানীর বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে ইসরাইলের হাত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে এবং যারা এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে এ ঘটনা দিয়ে বোঝা যায়, তারা নিজেদের অসহায়ত্বের কারণে একটা যুদ্ধ বাধানোর চেষ্টা করছে। তিনি আন্তর্জাতিক সমাজকে এই নির্মম হত্যাকান্ডের নিন্দা জানানোর আহ্বান জানান।
আমেরিকার প্রভাবশালী পত্রিকা ‘দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস’ এর খবরে বলা হয়, পদার্থবিজ্ঞানি মোহসেন ফাখরিজাদে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইহুদিবাদী ইসরাইল জড়িত বলে মন্তব্য করেন তিন মার্কিন কর্মকর্তা। এদের মধ্যে দু’জন হলেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
বিজ্ঞানী ফাখরিজাদের হত্যাকাণ্ডের কথা আমেরিকা আগে থেকে কতটুকু জানতো তা পরিষ্কার নয়। তবে, ইসরাইল ও আমেরিকা নানা বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার করে থাকে বলে জানানো হয় নিউ ইয়র্ক টাইমসে।
২০১৮ সালের একটি অনুষ্ঠানে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরান বিরোধী আলোচনা করতে গিয়ে বিজ্ঞানী ফাখরিজাদের নাম বার বার উল্লেখ করেছিলেন। সে সময় তিনি হুমকি দিয়ে বলেছিলেন- “মনে রাখবেন, নামটি হলো ফাখরিজাদে”।