fbpx

ইসি গঠনের খসড়া আইন অনুমোদন: সার্চ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ আইন-২০২২’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

আইনের খসড়ায় অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটির মাধ্যমে সিইসি ও কমিশনার নিয়োগের কথা বলা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সিইসি ও কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হবে। ছয় সদস্যের এই অনুসন্ধান কমিটির প্রধান হিসেবে থাকবেন প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি।

পাশাপাশি হাইকোর্টের একজন বিচারপতি, মহা হিসাবনিরীক্ষক, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান ও রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুজন বিশিষ্ট ব্যক্তিও থাকবেন সদস্য হিসেবে।

সার্বিকভাবে এই কমিটিকে সব ধরনের সহায়তা করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেখানে কমিটি যোগ্য ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করবে। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি চূড়ান্তভাবে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন।

তবে প্রস্তাবিত আইনে এসব পদের নিয়োগে কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।যেমন- ওই ব্যক্তিদের কমপক্ষে ৫০ বছর বয়স হতে হবে। এছাড়া সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি বা বিচার বিভাগীয় পদে ওই ব্যক্তিদের কমপক্ষে ২০ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন এই আইনের অধীনে হবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আশা করা যায়, এই আইন চূড়ান্ত হতে বেশি সময় লাগবে না।’

গত ২০ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

আজ বিকেলে এই ইস্যুতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সংলাপ রয়েছে। যেখানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আজ বিকেল চারটায় বঙ্গভবনে সংলাপে অংশ নেবে।

এখন পর্যন্ত এই সংলাপে অংশ নেওয়া ২৩টি দল হচ্ছে- জাতীয় পার্টি (জাপা), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বিকল্পধারা, গণফোরাম, সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, গণফ্রন্ট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জাতীয় পার্টি (জেপি), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ন্যাপ, কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), জাকের পার্টি ও এনপিপি।

আর রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপে অংশ নেয়নি-বিএনপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), এলডিপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ মুসলীম লীগ।

Advertisement
Share.

Leave A Reply