দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কাছে একসময় দুর্ভোগের নাম ছিল দৌলদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। আর ঈদযাত্রায় পরিণত হতো মহাদুর্ভোগে। ফেরির জন্য অপেক্ষায় থাকতে হতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তবে এ বছর উল্টো চিত্র। ঘাটে ফেরি অপেক্ষা করছে গাড়ির জন্য। তবে লঞ্চে যথেষ্ট ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঈদযাত্রায় পদ্মা পারাপারে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য ২০টি ফেরি প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি ২২টি লঞ্চও চলাচল করবে এ পথে।
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে গতকাল সকালে গিয়ে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি লঞ্চেই ছিল উপচেপড়া ভিড়। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দলে দলে পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটছে মানুষ। যদিও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে খালি লঞ্চ। ভিন্ন চিত্র ফেরিঘাটে। দৌলতদিয়ায় সচল থাকা ৩, ৪ ও ৭ নম্বর ঘাট দিয়ে পারাপার অব্যাহত থাকলেও ফেরিতে যাত্রী ও মোটরসাইকেলের চাপ কম। তবে ঘাটস্বল্পতায় ও উঁচু অ্যাপ্রোচ সড়কে গাড়ি ওঠানামায় বেশ সমস্যা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘ঈদে ঘরমুখো মানুষকে নির্বিঘ্নে পারাপার করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রী হয়রানি বন্ধ, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ন্ত্রণে ভাড়া মনিটরিং করবে প্রশাসন। এছাড়া সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় ঘাট এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পর্যাপ্তসংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।