fbpx

উইন্ডোজ-১১ অবমুক্ত, কম্পিউটার থেকেই চলবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

নানা জল্পনা কল্পনা শেষে অবশেষে অবমুক্ত করা হলো মাইক্রোসফটের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ – ১১ এর।

নতুন এই উইন্ডোজ বাজারে আনার আগে মাইক্রোসফট টুইট করেছিল- ‘এটা কেবলই শুরু।’ বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এটিকে সবার সামনে নিয়ে আসে মাইক্রোসফট।

চলুন একনজরে জেনে নেই, কী কী সুবিধা দেবে উইন্ডোজ – ১১

নতুন এই অপারেটিং সিস্টেমে মাইক্রোসফট বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে। এবারের উইন্ডোজে তারা ইউজার ইন্টারফেস সরল করেছে। পাশাপাশি উইন্ডোজ স্টোরে পরিবর্তন এনেছে।

উইন্ডোজ – ১১ তে সবচেয়ে বড় যে সুবিধা যুক্ত হয়েছে, তা হলো- সরাসরি উইন্ডোজ থেকে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা। মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ দলের প্রধান পানোস পানয় বলেন, এবার সরাসরি উইন্ডোজ থেকে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করা যাবে।

প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম দ্য ভার্জের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্মার্টফোনের অ্যাপ কম্পিউটারে ব্যবহারোপযোগী করে তোলার জন্য ‘ইনটেল ব্রিজ’ নামের একটি প্রোগ্রাম ব্যবহার করবে উইন্ডোজ ১১। সিস্টেমটি ইনটেলের তৈরি হলেও সেটি কেবল ইনটেলের প্রসেসরে সীমিত নয়। কম্পিউটারে এএমডি কিংবা এআরএমনির্ভর প্রসেসর থাকলেও চালানো যাবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ। ইনটেল ও মাইক্রোসফট তা নিশ্চিতও করেছে।

এই উইন্ডোজের স্টার্ট মেনুতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবারের স্টার্ট বোতামটিও এখন দেখতে বেশ আলাদা। যেটি টাস্কবারের মাঝামাঝি রাখা হয়েছে।

নতুন উইন্ডোজের স্টার্ট মেনুতে লাইভ টাইলসের বদলে অ্যাপ বা সফটওয়্যারের বেশ সাধাসিধে তালিকা রাখা হয়েছে।

স্টার্ট মেনুর নকশায় অ্যাপলের ম্যাকওএসের প্রভাব স্পষ্ট। আর অ্যাপ আইকনে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএসের প্রভাব দেখা যাচ্ছে। কণাগুলো কিছুটা গোল করা হয়েছে। উইন্ডোজে ডার্ক এবং লাইট মোড যুক্ত হয়েছে।

নতুন এক সুবিধা পাওয়া যাবে এবারের উইন্ডোজে। মাইক্রোসফট যাকে ‘স্ন্যাপ লেআউট’ নামের আখ্যা দিয়েছে। তবে এখনও ব্যাপারটি পরিষ্কার নয়। ধারণা করা হচ্ছে, এটি একাধিক মনিটরে কাজ করার জন্য সুবিধাটি কাজে দেবে। বিশেষ করে সঠিক মনিটরে সঠিক অ্যাপটি যে দেখাচ্ছে, তা নিশ্চিতে সেটি কাজ করবে।

মাইক্রোসফট টিমস সরাসরি উইন্ডোজের টাস্কবারে দেওয়া থাকবে। ভিডিও কনফারেন্সের এই সফটওয়্যার আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগে সহায়তা করবে।

পানোস পানয় জানিয়েছে, উইন্ডোজ ১১-এর পারফরম্যান্স উন্নত করা হয়েছে। পাশাপাশি ট্যাব ও টাচস্ক্রিন ডিসপ্লেতে ব্যবহারের জন্য বেশ কিছু সুবিধাও যোগ করা হয়েছে।

নতুন এই উইন্ডোজে গেমিংয়ের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট ফি’র বিনিময়ে শতাধিক গেম খেলার সুবিধা আনা হচ্ছে। অটো এইচডিআর নামের সুবিধায় একই গেমের গ্রাফিকস উন্নত করার চেষ্টা করা হয়েছে।

মাইক্রোসফটের এই অপারেটিং সিস্টেমটি বিদ্যমান গ্রাহকেরা নতুন উইন্ডোজ বিনা মূল্যেই হালনাগাদ করে নিতে পারবেন।মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীরা বিনা মূল্যে নতুন অপারেটিং সিস্টেমে হালনাগাদ করতে পারবেন। এর জন্য অতিরিক্ত কোনো মূল্য পরিশোধ করতে হবে না।

উইন্ডোজ ১১ ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম হার্ডওয়্যার থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ হবে। এর জন্য আলাদা করে কিছু করতে হবে না। শুধু উইন্ডোজ আপডেট অপশন চালু থাকতে হবে।

এই উইন্ডোজ ব্যবহারের জন্য ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম সমর্থন করার মতো প্রসেসর থাকতে হবে। আর ৪ গিগাবাইট র্যাম এবং হার্ডডিস্কে ৬৪ গিগাবাইট ফাঁকা জায়গাও থাকতে হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply