fbpx

এইচআরডব্লিউয়ের অভিযোগ, মসজিদ বন্ধ ও ধ্বংস করে দিচ্ছে চীন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চীনের উত্তরাঞ্চলীয় নিংজিয়া ও গানসু অঞ্চলে শত শত মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া অভিযোগ উঠেছে। জিনজিয়াংয়ের পর এই চীনা দুই অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি মুসলিম বাস করেন। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলছে, সংখ্যালঘুদের চীনাকরণ করার অংশ হিসেবে মসজিদগুলো বন্ধ করছে চীন সরকার।

এইচআরডব্লিউর গবেষকরা জানিয়েছেন, চীন সরকার স্বায়ত্তশাসিত নিংজিয়া অঞ্চল এবং গানসু প্রদেশে মসজিদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) অনেক দিন ধরেই চীনের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর কঠোর চাপ বজায় রেখেছে। ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ধর্মকে চীনাকরণের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

২০১৮ সালের এপ্রিলে চীন সরকার ইসলাম ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণ এবং বিন্যাস কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে স্থাপনাগুলো বেশি ধ্বংস এবং কম নির্মাণের নীতি মেনে চলা শুরু করে।

স্যাটেলাইট ইমেজের ছবি পরীক্ষা করে এইচআরডব্লিউর গবেষকরা জানান, নিংজিয়ার দুটি গ্রামে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সাতটি মসজিদের মিনার ও গম্বুজ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া চারটি মসজিদ অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মসজিদের তিনটি প্রধান ভবন ধ্বংস করা হয়েছে এবং একটির অজু করার স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব প্লাইমাউথের লেকচারার হান্নাহ থিয়েকার বলেন, অজু করার স্থান না থাকলে সাধারণত আপনি উপসনালয় ব্যবহার করতে পারবেন না। এর মানে হলো উপাসনার স্থান কার্যতভাবে অপসারণ করা হচ্ছে।

এইচআরডব্লিউ ঠিক কত মসজিদ বন্ধ করা হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি। তবে সরকারি প্রতিবেদন বলা হছে, এই সংখ্যা শত শত। নিংজিয়া প্রদেশের ঝোংওয়েই শহরের বাসিন্দা ১০ লাখের বেশি। ২০১৯ সালে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা ২১৪টি মসজিদের স্থান পরিবর্তন করেছে, ৩৭টি নিষিদ্ধ করেছে ও ৫৮টি একত্রিত করা হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ান থিংকট্যাংক দ্য অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট জানায়, ২০১৭ সাল থেকে জিনজিয়াংয়ের ১৬ হাজার মসজিদের ৬৫ শতাংশ ধ্বংস করা হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply