টোল প্লাজার সবগুলো বুথ চালু না হওয়ায় ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যানবাহনের দীর্ঘ জট তৈরি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহন চালক ও যাত্রীরা। ঢাকা ও ফরিদপুরের ভাঙ্গার মধ্যে ৫৫ কিলোমিটার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে শুরুর প্রথম দিনে টোল আদায়ে দেখা গেছে ধীরগতি।
এই মহাসড়ক সাধারণত এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে পরিচিত। মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো থেকে বৃহস্পতিবার(৩০ জুন) দিবাগত রাত ১২টায় (১ জুলাই) টোল আদায় শুরু হয়।
শুক্রবার(১ জুলাই) সকালে ফরিদপুর প্রান্তে ভাঙ্গার বগাইল টোল প্লাজা এলাকায় দুই কিলোমিটারের মতো এলাকাজুড়ে যানবাহনের সারি তৈরি হয়। বগাইল টোল প্লাজার সামনে দীর্ঘ সময় ধরে যানবাহনগুলোকে অপেক্ষা করতে হয় টোল আদায়ে ধীরগতির কারণে।
জানা যায়, ১০টি বুথের মধ্যে ৪টি সচল রয়েছে। এ ছাড়া শুক্রবার হওয়ায় ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেশি থাকায় অল্পসংখ্যক টোল আদায় বুথ দিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দ্রুত বাকি ছয়টি বুথ চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা–ভাঙ্গা ৫৫ কিলোমিটার এই এক্সপ্রেসওয়ের নাম দেওয়া হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক। পদ্মা সেতু পার হয়ে শরীয়তপুরের জাজিয়া এলাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার এই মহাসড়ক ব্যবহার করলে একটি বড় বাসকে দিতে হবে ২০০ টাকা, মিনিবাস ১১০ টাকা, মাইক্রোবাস ৯০ টাকা, প্রাইভেটকার ৫৫ টাকা, মোটরবাইক ১০ টাকা। এ ছাড়া ট্রাকের ক্ষেত্রে ট্রেইলর ট্রাকের (সবচেয়ে বড় ট্রাক) টোল ধরা হয় ৬৭৫ টাকা, ভারী ট্রাকের ক্ষেত্রে ৪৪০ টাকা এবং মাঝারি আকারের ট্রাকের ক্ষেত্রে ২২০ টাকা দিতে হবে।