fbpx

এক কাঁঠাল নিয়ে বিরোধ, নিহত ৩

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে মসজিদে দান করা একটি কাঁঠাল নিলামে তোলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে।

নিহতরা হলেন ওই গ্রামের মৃত ছুফি মিয়ার ছেলে মো. বাবুল মিয়া (৫৮), আব্দুল বাছিতের ছেলে মো. শাহজাহান মিয়া (৩৬) ও নুরুল ইসলাম (৪২)। খবর পেয়ে শান্তিগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামে মসজিদে এক ব্যক্তি একটি কাঁঠাল দান করেন। শুক্রবার মসজিদে গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে কাঁঠালটি নিলামে তোলা হয়। একজন ওই কাঁঠাল ২৫০ টাকায় কিনে নেন। পরে আরেকজন এসে এটি ১ হাজার টাকা দাম দেবেন বলেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। পরে বয়োজ্যেষ্ঠ মুসল্লিরা তাদের শান্ত করে বিদায় করে দেন। এর পরও এ নিয়ে গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও মালদার মিয়ার পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। স্থানীয়ভাবে জনপ্রতিনিধিরা এ বিষয়ে কোনো বিবাদে না জড়ানোর জন্য দুই পক্ষকে অনুরোধ করেন।

গতকাল সকালে জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরজমিনে দুই পক্ষকে এ বিষয়ে অনুরোধ করে আসেন। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই উভয় পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই শহিদুল ইসলামের পক্ষে অংশ নেয়া নরুল হক ও বাবুল মিয়া মারা যান। হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান মালদার মিয়ার পক্ষের শাহজাহান মিয়া।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক শান্তিগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় তিনজনে আটক করেছে পুলিশ।

জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বাছিত সুজন বলেন, ‘রোববার রাতে ও গতকাল সকালে হাসনাবাদ গ্রামে গিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করে কথা বলেছি। উভয় পক্ষের লোকজন আমাকে আশ্বস্ত করেছিল, কোনো পক্ষই মারামারিতে যাবে না। এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের শান্ত করে উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে আমি চলে আসার পর শুনতে পাই উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একটি কাঁঠাল নিয়ে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।’ শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মো. খালেদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply