২০২১-২২ অর্থবছরে নতুন করে মূল্য সংযোজন করের (মূসক বা ভ্যাট) আওতায় এসেছে আরও প্রায় ৮০ হাজার প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে দেশে এখন ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭১ হাজার।
২০২০-২১ অর্থবছরে এই সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৯১ হাজার। এক বছরের ব্যবধানে ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে এমনটাই উঠে এসেছে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ৩ লাখ ৭১ হাজার প্রতিষ্ঠান ভ্যাট নিবন্ধন নিলেও প্রতিমাসে গড়ে আড়াই লাখের মতো প্রতিষ্ঠান ভ্যাট রিটার্ন জমা দিয়েছে।
যে সকল প্রতিষ্ঠান ভ্যাট নিবন্ধন নিয়েছে, সেগুলোতে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) মেশিন ব্যবহারে উৎসাহিত করতে এনবিআর নানা উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে কয়েক হাজার প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট মেশিন অর্থাৎ ইএফডি বসানো হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে আরও তিন লাখ ভ্যাট মেশিন বসানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন ভ্যাট আইনে বলা আছে, কোনো প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক লেনদেন ৫০ লাখ টাকার কম হলে ভ্যাট দিতে হয় না। তাই তাদের নিবন্ধনও নেওয়ার দরকার নেই। তবে বার্ষিক লেনদেন ৫০ লাখ টাকা থেকে ৩ কোটি টাকা হলে ৪ শতাংশ টার্নওভার কর দিতে হয়। বাকিদের ক্ষেত্রে নিয়মিত ভ্যাটহার প্রযোজ্য। টার্নওভার কর ও নিয়মিত ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে ইবিআইএন নিতে হয়। কোনো প্রতিষ্ঠান ইবিআইএন না নিলে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে নতুন ভ্যাট আইনে। এ ছাড়া নিবন্ধন সনদ যথাযথভাবে প্রদর্শন না করলেও ১০ হাজার টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে।