এফডিসিতে নির্বাচনী উৎসব চলবে আরও আট দিন। মিছিলে-স্লোগানে গরম গোটা অঙ্গন। তবে ভোটাররাই নির্ধারণ করবেন বিজয়ের হাসিটা কে হাসবেন।
এক ভোটার বলেন, ‘সমিতিতে মূর্খ লোক নাই। সবাই ট্যালেন্ট। সবাই শিল্পী, উচ্চ শিক্ষিত। ভোট বিবেচনা করেই দিতে হবে। দুই প্যানেলের প্রার্থীরাই আপন। কিন্তু তার মধ্যেও যোগ্য-অযোগ্য আছে। সমিতিতে কারে আনলে উন্নতি হবে এটা বিবেচনা করেই ভোট দিতে হবে।’
মিশা-জায়েদ প্যানেলে বুধবার রাতে ছিল তারকাদের মিলন মেলা। রোজিনা, অঞ্জনা, সুচরিতা, মৌসুমি, ওমর সানি, জায়েদ খান সবাই ছিলেন উপস্থিত। ভোটারদের মন কাড়তে চলে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচন।
তবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় শিমু হত্যার বিষয়টি। জায়াদ খান বলেনে, নির্বাচন সামনে রেখে ষড়যন্ত্র করেই এই হত্যার সাথে তার নাম জড়ানো হয়েছে। এ জন্য কয়েকজনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
জায়েদ খান বলেন, ‘ সামান্য ছোট্ট একটা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই যে বাজে একটা জিনিস, যেটা আমার ইতিহাসে এই চলচ্চিত্র দেখি নাই। এই ধরনের মানসিকতাকে ধিক্কার জানাই। এদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।’
তিনি আরও বলেন এরই মধ্যে, শিমুর খুনি সন্দেহে তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। যদি এসব না হত তাহলে শিল্পীদের ওপরই আঙ্গুল উঠতো। তড়িৎগতিতে কাজ করার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ দেন জায়েদ।
নিহত শিল্পী শিমুর ভাইও জায়েদ খানকে সমর্থন করেন। নোংড়া চক্রান্ত বাদ দিয়ে আসল আসামীদের শাস্তির দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘আজকে আমার বোন ছবি হয়ে গেছেন। এটা একটা হত্যাকাণ্ড। বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন রকম কথা উঠছে যে এটার সাথে জায়েদ খান জড়িত। তার সাথে আমার বোনের ঝগড়া হইছে, কিছু হইছে। আমার বোন অকেন দিন এফডিসিতে আসে নাই। জায়েদ ভাইর সাথে কোনো ঝগড়া হয় নাই।’
ইলিয়াস কাঞ্চন- নিপুণ প্যানেল ছিল তুলনামূলক নীরব। পাশের প্যানেলে অর্থাৎ মিশা-জায়েদের প্যানেলে চলছিল নিহত শিমুর জন্য মিলাদ। বিপক্ষীয় সহকর্মীদের যেন কোনো রকম অসুবিধা না হয় সে দিকেও বেশ সচেতন ছিলেন তারা।
https://www.facebook.com/eveningshow.bbs/videos/1316766458797813