গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের সতর্ক করে উড়োজাহাজ থেকে লিফলেট ফেলেছে ইসরায়েল। এতে বলা হয়েছে, এলাকাটি এখন একটি যুদ্ধক্ষেত্র। তাই গাজা সিটির বেসামরিক বাসিন্দাদের অবশ্যই দক্ষিণে চলে যেতে হবে।
এভাবেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধের স্থল অভিযান দ্বিতীয় পর্যায়ে টেনে নিয়েছে ইজরায়েল । এবং এই পর্যায়টি আরো দীর্ঘ ও কঠিন হবে বলে সতর্ক করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তাছাড়া ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, টানা দুই রাত ট্যাংক নিয়ে অভিযান চালানোর পর ইসরায়েলি বাহিনী স্থল অভিযানের আওতা বাড়াচ্ছে।
এরপরই গাজা উপত্যকায় আবারও স্থল অভিযান চালানো নিয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে মধ্য প্রাচ্যের মোড়ল সৌদি আরব। বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের জীবনকে হুমকিতে ফেলে চালানো এ অভিযানকে আন্তর্জাতিক আইনের ‘অযৌক্তিক লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করেছে দেশটি।
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি নিয়ে নিউ ইয়র্ক গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল টার্মিনালে সমাবেশ করেছে শত শত বিক্ষোভকারী। অতিরিক্ত জনসমাগমের কারণের রেল স্টেশনটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে মেট্রোপলিটন পরিবহন কর্তৃপক্ষ (এমটিএ)। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল টার্মিনাল হচ্ছে নিউ ইয়র্ক শহরের পরিবহণ খাতের অন্যতম ব্যস্ত স্টেশন। অতিরিক্ত জনসমাগমের কারণে গণপরিবহন ব্যবহারে যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাই তাদের বিকল্প পরিবহণ স্টেশন ব্যবহার করার কথা বলেছে এমটিএ। স্টেশনটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
প্রতিবাদী সমাবেশে দেখা গেছে, শত শত ইহুদি ধর্মালম্বী এতে অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই কালো টি-শার্ট পরেছিলেন। তাদের টি-শার্টে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান লেখা ছিল। যেমন, ‘ইহুদিরা এখনই যুদ্ধবিরতি চায়’, ‘আমাদের নামে (যুদ্ধ) নয়’ ইত্যাদি। তাদের হাতে ছিল ফিলিস্তিনকে স্বাধীনতা দেওয়ার আহ্বানের ব্যানার। মুখে ছিল স্লোগান ‘আর কোনও অস্ত্র নয়’, ‘আর কোনও যুদ্ধ নয়’, ‘যুদ্ধবিরতি চাই’।
এরপর দেখা গিয়েছে, নিউ ইয়র্ক গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল টার্মিনাল ফাঁকা করার জন্য পুলিশ লাঠিচার্জ করে, ব্যানার খুলে ফেলে। তাছাড়া কয়েকজনকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যেতেও দেখা গেছে।
জিউশ ভয়েস ফর পিস (জেভিপি) নামে ইহুদিদের একটি সংগঠন এই বিক্ষোভের আয়োজন করে। এর আগে গত সপ্তাহে এই সংগঠনটি গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে বিক্ষোভ করেছিল।