fbpx

ওপারে পাড়ি জমালেন কবি শঙ্খ ঘোষ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনায় আক্রান্ত হয়ে বুধবার (২১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।

বিখ্যাত এই কবি বেশ কয়েক মাস ধরে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ২১ জানুয়ারি অসুস্থতার কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে জ্বর ও পেটের সমস্যা দেখা দেয়।

পরে তাঁকে করোনা পরীক্ষা করানো হয়। ১৪ এপ্রিল বিকেলে জানা যায়, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এরপর তাঁকে বাড়িতে নিবিড় পরিচর্চায় রাখা হয়। কিন্তু আস্তে আস্তে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরে তাঁকে ভেন্টিলেটরে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর দেহ থেকে ভেন্টিলেটর খুলে নেওয়া হয়।

তাঁর আসল নাম চিত্তপ্রিয় ঘোষ। পিতা মনীন্দ্রকুমার ঘোষ এবং মাতা অমলা ঘোষ। ১৯৩২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বর্তমান চাঁদপুর জেলায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তবে তাঁর পৈতৃক বাড়ি বরিশালের বানারিপাড়ায়।

পিতার কর্মস্থল পাবনায় হওয়ায় তিনি সেখানে বড় হয়েছেন। সেখানকার চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ থেকে মেট্রিক পাস করেন। ১৯৫১ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বাংলায় কলা বিভাগে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

ওপারে পাড়ি জমালেন কবি শঙ্খ ঘোষ

ছবি: সংগৃহীত

তিনি যাদবপুর ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। ১৯৯২ সালে তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনাও করেছেন। এছাড়া ইউনিভার্সিটি অব আইওয়ায় ‘রাইটার্স ওয়ার্কশপ’-এও যুক্ত হন এই কবি।

তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘দিনগুলি রাতগুলি’, ‘বাবরের প্রার্থনা’, ‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’, ‘গান্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ’। রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ হিসেবেও তাঁর বিশেষ খ্যাতি ছিল।

সাহিত্যের নানা সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন শঙ্খ ঘোষ। ১৯৭৭ সালে ‘বাবরের প্রার্থনা’ কাব্যগ্রন্থটির জন্য তিনি ‘সাহিত্য আকাদেমি’ পুরস্কার পান। ১৯৯৯ সালে কন্নড় ভাষা থেকে বাংলায় ‘রক্তকল্যাণ’ নাটকটি অনুবাদ করেও সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান । এছাড়া রবীন্দ্র পুরস্কার, সরস্বতী সম্মান, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১১ সালে বিখ্যাত এই কবি ‘পদ্মভূষণ’  সম্মাননাও লাভ করেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply