fbpx

কক্সবাজারে হোটেলে ৭০ শতাংশ, রেস্তোরাঁয় ১৫ শতাংশ ছাড়

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে পর্যটন শহর কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে বসেছে সাত দিনের পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল। দিবসটি উপলক্ষে কক্সবাজার ভ্রমণে আসা পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড় ঘোষণা করেছেন ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব চলবে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। শহরের সৈকতের লাবণী পয়েন্টে এ উৎসবের নানা আয়োজন রয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পর্যটন দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড় দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি সৈকতের লাবণী পয়েন্টে পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভালের আয়োজন করেছে। সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলায় রয়েছে নানা আয়োজন। জেলা প্রশাসন শহরের হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস ও রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে বিশেষ ছাড় ঘোষণা দিয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট (এডিএম) মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, ‘পর্যটকদের সামনে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলা চলাকালীন আবাসিক হোটেলগুলোতে ২৫ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি। পাশাপাশি রেস্তোরাঁগুলোতে দেওয়া হবে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। দেশের একমাত্র ফিশ অ্যাকুরিয়াম রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড ৫০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে। এছাড়া সৈকতের কিটকট (বিচ ছাতা), বিচ বাইক, ওয়াটার বাইক, প্যারাসাইলিং, ছবি তোলাসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সেবায় বিভিন্ন ছাড় দিয়েছে।’

কক্সবাজার রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিকুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে দেশের একমাত্র ফিশ অ্যাকুরিয়ামে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। এতে করে কক্সবাজারে আসা পর্যটকরা সমুদ্রের তলদেশের রহস্যসহ নানা প্রজাতির মাছ দেখতে পাবেন। অ্যাকুরিয়ামটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পর্যটকদের জন্য নানা সুবিধা দিয়ে আসছে।’

কক্সবাজারের রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নাইমুল হক চৌধুরী টুটুল বলেন, ‘পর্যটকদের হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ১৫ শতাংশ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছাড় দিয়েছেন। উৎসবের সাত দিন পর্যন্ত এ হারে ছাড় দেওয়ার ঘোষণা রয়েছে। দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে এর চেয়ে বেশি ছাড় দেওয়া সম্ভব হয়নি।’

কক্সবাজার হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেস সিকদার বলেন, ‘সমিতিভুক্ত প্রতিটি হোটেলে একটি কক্ষ ৮০০ টাকায় এক রাতের জন্য বুকিং দেওয়া হবে। অন্যান্য কক্ষ ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’

জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে এবারই প্রথম সপ্তাহব্যাপী পর্যটন উৎসবের আয়োজন হয়েছে। কক্সবাজারকে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়াসে এই উৎসবের আয়োজন।

এছাড়া বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আগামী জীবনের প্রজন্ম বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কৌতুক, বিচ ফুটবল ও ক্রিকেটসহ নানান ঐতিহ্য নিয়ে নাটকসহ নানা আয়োজন থাকছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply