fbpx

কঠোরতম লকডাউনে ঈদের আনন্দ মাটি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছেন মানুষ। শুক্রবার সকালে ঢাকার প্রবেশদ্বারগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভীড়! রাজধানীর আমিন বাজার থেকে শুরু করে গাবতলি মাজার রোড পর্যন্ত ছিল মানুষের দীর্ঘ সারি। কাঁধে ব্যাগ, মাথায় বস্তা নিয়ে কয়েক কিলোমিটার হাটছেন তারা। মোড়ে মোড়ে যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকছেন ঘণ্টার পর ঘন্টা।

জানতে চাইলে অনেকেই বলছেন, গতকাল রাতে গাড়িতে উঠেছেন সকালে লকডাউন শুরু হবার আগে। তার মানে ভোরে ঢাকায় এসে নামতে পারবে, এমনটাই আশা করেছিল তারা । তবে ফেরিতে যানজটের কারনে গতকাল রাত থেকে আটকে  গেছে দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা কয়েক হজার গাড়ি। পাশাপাশি দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

অন্যান্য বারের মতো এবারও লকডাউন পর্যবেক্ষণে মাঠে রয়েছে  আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সঙ্গে মাঠে আছে সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও বিজিবি সদস্যরা। চেক পোস্ট গুলোতে আগের মতোই প্রতিটি গাড়ি চেক করা হছে। তবে ঢাকার বাইরে থেকে আসা মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে পরিবহনগুলোর যাত্রীদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। বিকালের পর আর কোন গাড়ি বা বিনা প্রয়োজনে বের হওয়া কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শহরের ভিতরেরর রাস্তাগুলো আগের মতই আছে ফাকা!  শুধু ঢাকায় ফেরা নয়, ১৪ দিনের লকডাউনের ছুটি কাটাতে অনেকেই আবার ছুটছেন নিজ গ্রামে। স্বাস্থ্যবিধির বালাই নাই জেলা শহর থেকে আসা কোন পরিবহনে দুই সিটেই যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে ! আর পরিবহণের চালক ও হেলপার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনেই অর্ধেক সিট খালি রেখেই যাত্রী আনছেন তারা।

লকডাউন কার্যাকরে নগরজুড়ে ৩০ টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি নিধিনিষেধ অমান্যকারির জন্য রয়েছে শাস্তির ব্যবস্থা।

আজ থেকে শুরু হওয়া টানা ১৪ দিনের  এই বিধিনিষেধকে ‘সবচেয়ে কঠোরতম’ হিসেবে অভিহিত করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়! বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করছে সরকার।

Advertisement
Share.

Leave A Reply