fbpx

কমছে টাকার মান, রিজার্ভ হারাচ্ছে বাংলাদেশ  

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গত কয়েক মাস ধরে ডলারের বাজার চড়া থাকায় মুদ্রাবাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। এই বাজার স্বাভাবিক রাখতে তাই বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। সোমবারও রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রিজার্ভের পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, দেড় বছরের মধ্যে তাদের রিজার্ভ সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৪১ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। ২০২০ সালের নভেম্বরের পর এটিই এখন সর্বনিম্ন রিজার্ভ। ২০২০ সালের নভেম্বরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে ব্যাংকগুলোর হাতে ডলারের দাম ছেড়ে দেওয়ায় এর দাম বেড়েই চলেছে আর টাকা মান হারাচ্ছে। এরই মাঝে ডলারের বিপরীতে টাকার দাম আরও ৫০ পয়সা কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২ টাকা ৫০ পয়সা, আগে যা ছিল ৯২ টাকা।

গোটা বিশ্ব যখন মুক্তবাজার অর্থনীতির জোয়ারে ভাসছে, সেখানে এই পদ্ধতিতে চড়াও দামে বিক্রি হচ্ছে ডলার। গত মঙ্গলবার ডলারের দাম সর্বোচ্চ ৯২ টাকায় বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। অথচ দিন পার না হতেই বুধবার হঠাৎ করে ডলারের দাম উল্টো ৫০ পয়সা কমে ৯১ টাকা ৫০ পয়সা হয়। এর ঠিক তিন দিন পর আবারও ডলারের দাম ৫০ পয়সা বেড়ে ৯২ টাকায় দাঁড়ায়। তার আবার একদিন পরই ডলারের দাম বাড়ানো হয়। এর একদিনের মাথায় আবার টাকার মান ৫০ পয়সা কমানো হয়।

সোমবার (১৩ জুন) আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার ৯২ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণ করছে না। ব্যাংকগুলো যে দামে লেনদেন করে, তার মধ্যে একটি দর বিবেচনায় নেওয়া হয়। আজ ৯২ টাকা ৫০ পয়সাকে বিবেচনায় নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাজারের চাহিদা মেটাতে সোমবার ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এর ফলে রিজার্ভ কিছুটা কমে এসেছে। তবে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়লে রিজার্ভ আবারও বাড়বে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক।

Advertisement
Share.

Leave A Reply