স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান থেকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। ভারতের ইতিহাসে নতুন চমক ভগবন্ত মান। তার রাজনৈতিক যাত্রা হার মানায় বলিউড সিনেমাকেও।
১০ মার্চ পাঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণায় আম আদমি পার্টির থেকে জয়ী হন ভগবন্ত মান। তাকে নিয়ে আলোচনায় এখনও গোটা ভারত। বৃহস্পতিবার থেকে ভগবন্তের বাড়ির সামনে উৎসবের আমেজ যেন থামছে না কিছুতেই। কেনই বা নয়? কংগ্রেসের অভিজ্ঞ নেতা চরণজিৎ সিং চান্নিকে হারিয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, এর আগে পাঞ্জাবের সাঙ্গরুর থেকে দুবার সাংসদ হয়েছেন তিনি। তবে রাজনীতির থেকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবেই বেশি জনপ্রিয় তিনি।
ভগবন্তের মানের জন্ম ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে, পাঞ্জাবে। ১৮ বছর বয়সে একটি কৌতুকের অডিও ক্যাসেট দিয়ে প্রথম টাইমলাইনে আসেন তিনি। এরপর টিভিতে ‘জুগনু মস্ত মস্ত’ নামের একটি কমেডি শো শুরু করেন। এভাবেই পাঞ্জাবের হাস্যরসের রাজা বনে যান তিনি।
অভিনেতার ক্যারিয়ারের শীর্ষে পৌঁছে আচমকাই রাজনীতিতে পা রাখেন ভগবন্ত। যোগ দেন মনপ্রীত সিং বাদলের পিপলস পার্টি অব পাঞ্জাবে। ২০১২ সালের নির্বাচনে হেরে যান। ১০১৪ সালে আম আদমি পার্টিতে যোগ দেন তিনি। ২০১৪ ও ২০১৯ সালের পাঞ্জাবের সঙ্গরুর থেকে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন তিনি।
জনপ্রিয়তার সাথে সাথে ভগবন্তের বিরুদ্ধে অভিযোগের ফর্দও ছিল অনেক। একাধিকবার মাতাল অবস্থায় তার ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ২০১৬ সালে মদপ্য অবস্থায় সংসদে প্রবেশের অভিযোগও উঠেছিল। ছিলেন রিহ্যাব সেন্টারেও।
সেখান থেকে ফিরে এসেই এক অন্য রকম মানুষ হয়ে যান ভগবন্ত। আম আদমি পার্টির নেতা ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অনুরোধে একেবারেই মদ ছেড়ে দেন তিনি। এমনকি পাঞ্জাবকে মাদক মুক্ত করার দায়িত্বও কেজরিওয়াল দিয়েছিলেন ভগবন্তের হাতেই। দলের নেতার মান রেখেছেন ভগবন্ত সিং। বদলে যাওয়া ভগবন্তের হাত ধরেই দিল্লির বাইরে প্রথম সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আম আদমি পার্টি।