মহামারি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা যেমন বেড়েই চলেছে, তেমনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিদেশের মাটিতেও মৃত্যু হয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে থাকা প্রবাসীদের।
বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশের দূতাবাস, প্রবাসীদের কমিউনিটি ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ১৯ জুন শনিবার পর্যন্ত এই মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে বিদেশের মাটিতে প্রায় ২ হাজার ৭০০ জন বাংলাদেশি প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
তবে তথ্য সুত্র বলছে, করোনায় সংক্রমিত হয়ে এ পর্যন্ত সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৯ জুন পর্যন্ত সৌদি আরবেই করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১২৩ জনের।
আর বলা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা ভাইরাসের ঝুঁকির মুখে রয়েছেন সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এরইমধ্যে সৌদি আরবে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি চিকিৎসকও করোনায় মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারাও। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সেখানকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বেশ কিছু বাংলাদেশি।
সৌদি আরবের পর বেশি প্রবাসী নাগরিক মারা গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন অন্তত ৪৪৫ জন বাংলাদেশি। এছাড়া, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরাইনেও বাংলাদেশি প্রবাসীদের মৃত্যুহার অনেক বেড়েছে। সেখানে গত ১৮ জুন থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের টিকা প্রদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
এছাড়া সিঙ্গাপুরে এ পর্যন্ত ৩০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে সেখানে কোনো বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাজ্যে ৪১২ জন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৬৫, কুয়েতে ১০৭, বাহরাইনে ৮১, ওমানে ৭০ জন, কাতারে ৪৫, ইতালিতে ৪৩, লেবাননে ৩০, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩০, কানাডায় ৯, সুইডেনে ৮, ফ্রান্সে ৭, স্পেনে ৭, বেলজিয়ামে ৩, আফ্রিকার দেশ সোয়াজিল্যান্ডে ৩, পর্তুগালে ২, লিবিয়ায় ১, গাম্বিয়ায় ১, ভারতে ১, মালদ্বীপে ১ ও কেনিয়ায় ১ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, প্রবাসীদের সতর্কভাবে চলাফেরা করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সাথে সকল প্রবাসীরা যেন টিকা পান, সে বিষয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।
