fbpx

করোনা আক্রান্ত তসলিমা নাসরিন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন করোনা পজিটিভ। করোনা আক্রান্তের খবর তিনি নিজেই তার ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করেছেন। তবে লেখিকার দাবী, করোনাকালে তিনি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ঘরেই আটকে আছেন। মাত্র একদিন বাইরে গিয়েছিলেন তাও আবার করোনার টিকা নিতে। এত সাবধানতা মেনে চলেও শেষমেষ তিনি ঠিকই করোনা আক্রান্ত হলেন। নিজেকে দুর্ভাগা বলেও আক্ষেপ করেন তিনি।

 

ফেসবুকের পোস্টে এই লেখিকা লিখেছেন, ‘আমি চিরকালই বড় দুর্ভাগা। এই যে গত বছরের মার্চ মাস থেকে একা আছি ঘরে, একখানা ইন্ডোর ক্যাট সঙ্গী, কোথাও এক পা বেরোলাম না, কাউকে ঘরে ঢুকতে দিলাম না, রান্না বান্না বাসন মাজা কাপড় কাচা ঝাড়ু মোছা সব একাই করলাম, কী লাভ হলো? কিছুই না। ঠিকই কোভিড হলো। গত এক বছরে শুধু একবার এক ঘণ্টার জন্য বাইরে বেরিয়েছিলাম, তাও দু’মাস আগে, টিকার প্রথম ডোজ নিতে। ওই ডোজটি কিছু অ্যান্টিবডি তৈরি করেছিল বলে হয়তো এ যাত্রা বেঁচে গেছি। আমি চিরকালই বড় দুর্ভাগা। এক এক করে যদি লিখি কী কী ঘটেছে জীবনে যা ঘটার কথা ছিল না, তাহলে তালিকা এত দীর্ঘ হবে যে পড়ে কেউ কূল পাবে না। আপাতত কোভিড হওয়ার দুঃখটাই থাক। দুঃখ থাকাও হয়তো ঠিক নয়। কারণ ধীরে ধীরে আমি সুস্থ হয়ে উঠছি। কিন্তু হাজারো মানুষ যারা সুস্থ হতে পারেনি! যারা শ্বাস নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি শ্বাস নিতে! দুঃখগুলো বরং তাদের জন্য থাক। এখন এইটুকু অন্তত ভালো লাগছে, এটি আর স্টিগমা নয় আগের মতো। কারো কোভিড হলে সে লুকিয়ে রাখতো খবর, কারণ কোভিড হওয়াটা অনেকটা ছিল এইডস হওয়ার মতো। সমাজ ব্রাত্য করে দিত। এক বছরে এত মানুষকে ধরেছে এই কোভিড, এতে, ভালো, যে, স্টিগমাটা গেছে। কেউ আর বলতে দ্বিধা করেনা যে তার কোভিড হয়েছে।’

করোনা আক্রান্ত তসলিমা নাসরিন

উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হন তসলিমা নাসরিন। বর্তমানে তিনি সুইডেনের পাসপোর্টধারী হিসেবে দিল্লিতে বসবাসরত।

Advertisement
Share.

Leave A Reply