fbpx

কর্ণফুলী নদী দখলকারীদের তালিকা দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চট্টগ্রামের আনোয়ারা, কর্ণফুলী, পটিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলায় কর্ণফুলী নদীর মূল সীমানা বিশেষ দলের মাধ্যমে জরিপ করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে নদীর জায়গা দখলকারীদের তালিকাও দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

 

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

 

 

হাইকোর্ট কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ ও পূর্ব পাশের আনোয়ারা, কর্ণফুলী, পটিয়া ও বোয়ালখালী এলাকায় অবস্থিত নদীর সীমানায় মাটি ভরাট, দখল ও নির্মাণকাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসককে দুই সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে বলা হয়েছে।

 

 

গত ২৪ সেপ্টেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে তিনজন আইনজীবী ১২ নভেম্বর ওই রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

 

কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে মাটি ভরাট, দখল ও নির্মাণকাজ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং নদী রক্ষার জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। এছাড়া কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে স্থায়ী স্থাপনা, মাটি ভরাট ও দখল অপসারণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

 

পরিবেশ সচিব, পানি উন্নয়ন সচিব, পরিকল্পনা সচিব, ভূমি সচিব, অর্থসচিব,  নৌপরিবহন সচিব, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply