fbpx

কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে কেড়ে নিল আদালত

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারকে তার বিচারিক ক্ষমতা সাময়িক প্রত্যাহার করেছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে তাকে আদালতে না বসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে এ নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মহোদয়গণের আলোচনাক্রমে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারকে ১৪/১১/২০২১ তারিখ সকাল সাড়ে ৯টা হতে আদালতে না বসার নির্দেশ প্রদান করেছেন।

সেখানে আরও বলা হয়, ‘কামরুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে তাকে বর্তমান কর্মস্থল হতে প্রত্যাহার করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হতে অদ্য সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে আইন মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।’

মোছা. কামরুন্নাহার গত ১১ নভেম্বর আলোচিত রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার রায় ঘোষণা করেন। যেখানে পাঁচ আসামির সবাইকে খালাস দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণার সময় তিনি নির্দেশনা দেন, ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে পুলিশ যেন মামলা না নেয়।

বিচারকের এমন নির্দেশনা বা পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীরা। প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক এবং নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। আদালতের এই নির্দেশনা সংবিধান ও ন্যায়নীতির পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেন তারা।

৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণ মামলা না নেয়ার জন্য ঢাকার বিচারিক আদালতের এক বিচারকের পর্যবেক্ষণ সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শনিবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, ওই বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে চিঠি পাঠানো হবে।

এরই মধ্যে কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার খবর দিয়েছে আদালত।

Advertisement
Share.

Leave A Reply