কাশিমপুর কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেলসুপার ও জেলারসহ ১১ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
গাজীপুরের এ কেন্দ্রিয় কারাগার-১ এ কারাবিধি লঙ্ঘন করে হল-মার্কের তুষার আহমদের সাথে নারীর সাক্ষাতের মাধ্যমে অনৈতিক সুবিধা দেয়ার ঘটনায় এই শাস্তি।
বৃহস্পতিবার ৪ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে কারা অধিদফতরে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
কারাবিধি লঙ্ঘন করায় সিনিয়র জেলসুপার রত্না রায়, জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধা ও ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলায়েনসহ ছয়জন কারারক্ষী, একজন সহকারি প্রধান কারারক্ষী ও সার্জেন্ট ইনস্ট্রাক্টর বরখাস্ত হয়েছেন বলে সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে জানানো হয় ।
এর আগে বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কারা অধিদফতরের অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি।
কারাগারের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি কাশিমপুর কারাগারের ভেতরে কর্মকর্তাদের অফিস এলাকায় কালো রংয়ের পোশাক পরে স্বাচ্ছন্দে ঘোরাফেরা করছিলেন কারাবন্দী হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ। তার কিছু সময় পর কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইনের উপস্থিতিতেই বাইরে থেকে বেগুনি রংয়ের সালোয়ার কামিজ পরা এক নারী ভেতরে প্রবেশ করেন। তাদেরকে সহযোগিতার বিষয়টি ঐ সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে।
পরে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে অপর দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কারাগারের কর্মকর্তাদের কক্ষ এলাকায় প্রবেশ করেন। তাকে সেখানে রিসিভ করেন ডেপুটি জেলার সাকলাইন। ওই নারী সেখানে প্রবেশ করার পর অফিস থেকে বেরিয়ে যান সাকলাইন। এর আনুমানিক ১০ মিনিট পর কারাগারে বন্দী তুষার আহমদকে সেখানে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
ওই ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালামকে প্রধান করে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উন্মে হাবিবা ফারজানা ও ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরীকে নিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়া ২১ জানুয়ারি অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক আবরার হোসেনকে প্রধান করে উপসচিব (সুরক্ষা বিভাগ) আবু সাঈদ মোল্লাহ ও ডিআইজি (ময়মনসিংহ বিভাগ) জাহাঙ্গীর কবিরকে সদস্য করে আরও একটি তদন্ত কমিটি করা হয়।