‘হাওয়া’র চাঁন মাঝি চরিত্র দিয়ে চঞ্চল চৌধুরী যখন প্রশংসায় ভাসছেন ঠিক সেই সময়ই হইচই প্রকাশ করলো এ অভিনেতার নতুন এক লুক।
লুক প্রকাশের পর থেকেই নেট দুনিয়ায় এখন আলোচিত হচ্ছে চঞ্চল চৌধুরীর চরিত্রের কারিশমা।
নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকি এবং সালেহ সোবহান অনিমের নির্মাণে ‘কারাগার’ নামে সিরিজে চঞ্চলের এই লুক দেখা যাবে।
হইচই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, এই চরিত্রের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য অনেকটা ওজন ঝরাতে হয়েছে অভিনেতাকে। বসে যাওয়া গাঢ় লাল চোখ, কঙ্কালসার শরীরে চটের তৈরি প্রাচীনকালের কয়েদীদের পোশাক, ছোট করে ছাঁটা চুলে তার যেমন লুক, সেরকম তাকে এর আগে কখনও দেখা যায়নি। মূল গল্পের খুব বেশি প্রকাশ না পেলেও এটুকু বোঝা গেছে যে চঞ্চল চৌধুরী একটি রহস্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
নিজের এই পরিবর্তন সম্পর্কে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘কারাগার সিরিজটি আমার অন্য কাজগুলো থেকে বেশ আলাদা। সিরিজটি বেশ ইন্টারেস্টিং, আর ক্যারেক্টারটা আমাকে ভীষণভাবে আকর্ষণ করেছে। এ ধরনের ক্যারেক্টার ফুটিয়ে তোলার জন্য সবকিছু নিখুঁত হতে হয়। আমি এই চ্যালেঞ্জটা নিতে চেয়েছি। ওজন কমানো, মেকআপের পেছনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করা, কস্টিউম সব কিছু ঠিকঠাক রাখার জন্য অভাবনীয় এফোর্ট দিতে হয়েছে। আমরা সবাই যার যার জায়গা থেকে জানতাম যে আমরা কি করতে চাইছি। এখন দেখা যাক কাজটা দর্শকদের কেমন লাগে।’
এই বিষয়ে সিরিজের পরিচালক সৈয়দ আহমেদ শাওকির কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান এখনি তিনি সব কিছু প্রকাশ করতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘কারাগার আমাদের আজ পর্যন্ত করা সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী কাজ। প্রায় দেড় বছর আগে, এই গল্পের আইডিয়াটা আমাদের মাথায় আসে। কারাগার আমাদের লেখা সবচেয়ে বড় চিত্রনাট্য। এতে রহস্য আছে, ইতিহাস ও নাটকীয়তা আছে। অভিনয়ের পাওয়ার হাউস সব শিল্পীদের আমি আমার সেটে পেয়েছি। এটা সত্যিকার অর্থেই একটি ড্রিম কাস্টিং। এরকম শিল্পীদের এক সঙ্গে পারফর্ম করতে দেখাটা অন্যরকম একটি আনন্দের ব্যাপার।’
কারাগার সিরিজে চঞ্চল চৌধুরীর পাশাপাশি অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, ইন্তেখাব দিনার, বিজরী বরকতউল্লাহ্, তাসনিয়া ফারিণ, এফ এস নাঈম, শতাব্দী ওয়াদুদ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, এ কে আজাদ সেতু সহ আরও অনেকে।
কারাগার সিরিজ সম্পর্কে হইচই বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাকিব আর খান বলেন, ‘নতুন গল্প বলার যে প্রচেষ্টা আমাদের অব্যাহত আছে, কারাগার তার নবতম এবং অন্যতম সংযোজন। যে স্কেলে এই সিরিজটা শ্যুট করা হয়েছে, সেটা সম্ভবত বাংলা ওয়েব কন্টেন্টের ইতিহাসে প্রথমবারের মত হল। এই সিরিজ দেখার পর দর্শকদের বাংলা ওয়েব কন্টেন্টের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী বদলে যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’
সিরিজটির গল্প সম্পর্কে বলা হয়, আকাশনগর সেন্ট্রাল জেলে ৩২৫ জন কয়েদী। একদিন হেড-কাউন্টের সময় দেখা গেল গোণার বাইরে একজন অতিরিক্ত কয়েদী। কয়েদী কম হলে চিন্তার বিষয়, বেশি হলে আরও চিন্তার বিষয়। কে এই কয়েদী? আর সে যে সেল কিনা গত ৫০ বছর ধরে বন্ধ, সেই ১৪৫ নাম্বার সেল এ কীভাবে এলো? এই রহস্য নিয়েই এগিয়ে যাবে গল্প।