বেশ কিছুদিন ধরেই দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। কৃষকদের কথা চিন্তা করেই গত মার্চের মাঝামাঝিতে পেয়াজের আমদানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধানের মূল কারণ ছিল দেশীয় উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো এবং কৃষকদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা।
তবে আমদানি বন্ধ রাখার ফলে দেশীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। সম্প্রতি দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল না থাকায় আবারো পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মন্ত্রীর ঘোষণার পর একদিন যেতে না যেতেই পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজি প্রতি ১০ টাকা।
দেশে ভোগ্যপণ্যের প্রধান পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম উঠেছিল সর্বোচ্চ ৮০ টাকা। যা চলতি মৌসুমে পাইকারিতে পেঁয়াজের সবচেয়ে বেশি দাম।
কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা কম দামে কৃষকদের কাছ থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করে বেশি দামে বিক্রি করার জন্য বাজারে পেঁয়াজ সরবারহ না করে মজুদ করে রাখে। এর ফলেই অস্থির হয়ে পড়ে দেশের পেঁয়াজের বাজার।
আমদানি বন্ধ থাকায় দেশীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ায় কৃষক ও গ্রামাঞ্চলের ব্যাপারীরা পেঁয়াজে লাভবান হচ্ছিল। কিন্তু আমদানির সুযোগ না দেয়া, এলসি সংকটে আমদানি না হওয়ার গুজবে পণ্যটির দাম প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছিল।
সর্বশেষ বাণিজ্যমন্ত্রী নিত্য পণ্যের বিষয়ে কথা বলার পর নিম্নমুখী হয়েছে বাজার। শনিবার পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে মানভেদে ৬৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭২ টাকায়। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে পেঁয়াজের বাজার এ দামে স্থিতিশীল থাকতে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
একই চিত্র দেখা গেছে দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দরে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির খবর পাওয়ায় একদিনের ব্যবধানে দেশীয় পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৯-১২ টাকা। একদিন আগেও প্রতিকেজি দেশীয় পেঁয়াজ ৭৫ – ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৬৬-৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শনিবার দাম কমে আসায় খুচরা বাজারেও পেঁয়াজের দাম কমে আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।