fbpx

কেন মাস্ক নিয়ে অনীহা!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকারিভাবে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে আদেশ জারি করা হয়েছিল। আগস্টের পর থেকে করোনার সংক্রমণ যখন কিছুটা নিম্নমুখী তখন এ নিয়ে মাথা ব্যাথা ছিল না অনেকের। তবে শীতে করোনার দ্বিতীয় ধাপের ধাক্কাটা বেশ জেঁকে বসেছে। আর এই কারণেই আবার মাস্ক পরার বিষয়টিতে জোর দেয়া হচ্ছে।

প্রতিদিনই অভিযান চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের। মাস্ক না পরে জরিমানা গুনছেন অনেকেই, আর তবুও এর মধ্যেও আছে মাস্ক নিয়ে অনীহা।

মাস্ক পরলেই যে করোনা হবে না এর কিন্তু কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মাস্ক পরতে উৎসাহী করছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ডা. হোসনে আরা বলেন, সব সময় মাস্ক পরার কথা আমরা কাউকে বলছি না। তবে জনসমাগম হয় এমন স্থান ও সংক্রমণের ঝুঁকি আছে এমন স্থানেই মাস্ক পরাটাই ব্যক্তির স্বাস্থ্য সচেতনাতা প্রমাণ করে।

তবে সরকার অবশ্য বিষয়টিকে শুধু উৎসাহের মধ্যে রাখেনি। এটিকে বাধ্যতামূলক করেছে। এ লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে ভ্রাম্যমান আদালতও।

এছাড়াও মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে প্রথমে জারি করা হয়েছিল নো মাস্ক,নো সার্ভিস নীতি। অর্থাৎ মাস্ক না পরলে সেবা মিলবে না। এটি কোনো কাজে দেয়নি। মানছেন না কেউ। তাই এখন দেশজুড়ে চালানো হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান আর প্রতিদিনই করা হচ্ছে জরিমানা ।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল কুমার হালদার বিবিএস বাংলাকে বলেন, অভিযান চলাকালে মাস্কহীন বেশিরভাগ মানুষ বলেছেন, তাদের বাসা কাছেই তাই পরেননি, অনেকক্ষণ পরেছেন তাই খুলে রেখেছেন। কেউ বলেছেন, ভুল হয়েছে, আর কখনও হবে না। তবে এসব অজুহাতের মধ্যেও জরিমানা আব্যাহত রয়েছে বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট  ।

এ বিষয়ে বিবিএস বাংলা কথা বলেছে, কয়েকজনের সাথে তাদের মধ্যে একজন তরুণী বলছিলেন যে, মাস্ক পড়লে তার স্কিনে সমস্যা হয়। অন্য একজন বললেন যে তার মুখ ঘেমে যায়। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার বাসা থেকে মাস্ক আনতে ভুলে গেছেন। কেউ বলছেন, মাস্ক পরলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়, তাই খুলে রাখি। এদের একটি অংশ আবার মাস্ক পরছেন না কেন, এ প্রশ্ন শুনে খুবই বিরক্ত হন।

এদিকে রাস্তায় বসে জীবাণুনাশক ও মাস্ক বিক্রি করছেন যারা তাদেরও মাস্ক নেই সঠিক জায়গায়। কেউ পরেছেন থুতনিতে।

আর কয়েকটি অফিসের সামনে দেখা গেল, মাস্ক না পরেই গেট দিয়ে ঢুকছেন অনেকেই। গেটে যিনি নিরাপত্তাকর্মী, তিনি নিজেও পরেননি মাস্ক।জিজ্ঞেস করতেই পকেট থেকে বের পরে বলেন, সবসময় পরা লাগেনা ।

এ সময় পাশ দিয়ে একজন মাস্ক না পরে ঢোকার চেষ্টা করলে তাকে ধমক দিয়ে বলেন, এই মিয়া মাস্ক পরেন।

তবে গণপরিবহন, বাজার, ব্যাংক, হাসপাতালসহ জনসমাগমস্থলের চিত্রগুলো মোটামুটি একই রকম।বেশিরভাগের মুখেই মাস্ক নেই। কেউ বুক পকেটে, কেউ থুতনিতে, কেউ কপালে, কেউ কানে বা শার্টের বোতামে ঝুলিয়ে রাখতে দেখাগেছে মাস্ক।

এদিকে ভ্রাম্যমান আদালতের এই অভিযানে জরিমানা কিন্তু সবার হচ্ছে না।যেমন একজন গরিব লোক, রিকশাচালক, এদের জরিমানা না করে সচেতন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের নতুন মাস্ক বিতরন করা হচ্ছে । আবার ফার্মাসির দোকানিকে খুবই অল্প পরিমাণে জরিমানা করছে ভ্রাম্যমান আদালত।

ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনাকারিরা বলছেন, মাস্ক ব্যবহার না করলে একজন পথচারীকে জরিমানা করা হচ্ছে ১০০ টাকা । তারা মনে করছেন, এতে করে ৫ টাকা দিয়ে একটা মাস্ক কেনার গরজ আসবে জনসাধারনের  ।

তবে বলাই বহুল্য এক্ষেত্রে ব্যক্তির সচেতনাই জরুরি। আইন আর কতটুকু বাধ্য করতে পারে মানুষকে?

Advertisement
Share.

Leave A Reply