fbpx

কোন কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে ‘শনিবার বিকেল’ দেখার অনুরোধ ফারুকীর 

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সেন্সরবোর্ডে আটকে থাকার জন্য বাংলাদেশে ম্যক্তি দেওয়া যাচ্ছে না সিনেমা ‘শনিবার বিকেল’। কিন্তু তাই বলে নির্মাতা তো আর থেমে যেতে পারেন না। যে সিনেমা সন্তানের মত একজন নির্মাতা লালল করেন, সেই সিনেমা সবাই হলে গিয়ে দেখুক এটা নিশ্চয়ই কাম্য যে কোন নির্মাতার কাছে। নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীরর কাছেও তাই। দেশে মুক্তি দিতে না পারলেও ঠিকই আজ শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে সিনেমা ‘শনিবার বিকেল’। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। অনুভূতি কেমন নির্মাতা ফারুকীর? জানিয়েছেন নিজেই। সেই সাথে অনুরোধ করেছেন সিনেমাটি দেখার।

১০ মার্চ নিজের ফসবুক পেজে ফারুকী একটি পোস্ট দিয়েছেন। পোস্টে নির্মাতা লিখেছেন, ‘নিউইয়র্কের হিমশীতল রাতে বসে আমি কত কথা ভাবতেছি। আজকে দশ তারিখ আমেরিকা এবং কানাডার ৭১টা থিয়েটারে মুক্তি পাচ্ছে শনিবার বিকেল। আমার আসলে কিছু কি বলার আছে দর্শকদের উদ্দেশ্যে? যা বলার তাতো ছবিতেই আমি বলে দিছি।’

এরপর তিনি লিখেছেন, ‘তবুও আমার বোধ হয় কয়েকটা কথা বলার আছে। বলিউডে বয়কট মুভমেন্ট শুরু হওয়ার আগে থেকেই আমি নানামুখী বয়কট পার হয়ে আসছি, শুধুমাত্র দর্শকদের সমর্থনে। আমার মনে আছে, থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার ছবির সময় অনলাইন-অফলাইন পত্র-পত্রিকা বিভিন্ন জায়গায় আমার ছবিটাকে বয়কট এবং নিষিদ্ধ ঘোষনার দাবী করা হইছিলো। সেই প্রথম বয়কট শব্দটাকে আমি চিনলাম গভীরভাবে। তারপর শনিবার বিকেলে এসে বয়কটের ডাক চরম প্রকট আকার ধারন করলো। এবং তাও ডাকটা দেয়া হইলো ছবি না দেখেই। এবং সেই ডাককে পুঁজি করেই কিনা জানিনা, বাংলাদেশের সেন্সর বোর্ড ছবিটা আটকে রাখলো। আমি আমেরিকা-কানাডার দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা কোনো কান কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে ছবিটা দেখেন। এবং দেখার পরে ছবিটা যদি আপনাকে নাড়া দেয়, ছবিটা নিয়ে আপনার ভাবনাটা লিখে নীচের হ্যাশট্যাগগুলা দিয়ে পোস্ট করেন। আমরা তাহলে জানতে পারবো আপনাদের ভাবনা। একই সাথে অন্য দর্শকরাও জানতে পারবে। এবং এতে করে ছবিটা দেখতে তারা উদ্বুদ্ধ হতে পারে।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমেরিকা-কানাডার মূলধারায় বাংলাদেশের ছবি মুক্তি পাওয়াটা প্রতিদিনের ঘটনা না। ভারতীয় ছবি যেমন অহরহ মুক্তি পায়, বাংলাদেশের ছবির ক্ষেত্রে ঘটনাটা সেরকম না। কিন্তু আপনি যদি চান এটা একটা স্বাভাবিক ঘটনা হোক, আপনি যদি চান উত্তর আমেরিকার মেইনস্ট্রিম থিয়েটারে আমাদের কাউন্ট করা হোক, তাহলে যখনই বাংলাদেশের ছবি মুক্তি পাবে, আমাদের দেখতে যাওয়া জরুরী। এবং দেখতে গিয়ে ছবি ভালো লাগলে অন্যদের দেখতে ইন্সপায়ার করাটাও ভীষণ জরুরী। শনিবার বিকেল দেখে প্রপার হ্যাশট্যাগ দিয়ে আপনাদের প্রতিক্রিয়া লেখাটাও এই কারনে জরুরী। উত্তর আমেরিকার দর্শকদের যদি আমরা আমাদের নিয়মিত দর্শক হিসাবে ভাবতে পারি, তাহলে এটা আমাদের গল্প বলায় একটা শক্তি জোগাবে। আমরা অনেস্টি নিয়ে যেকোনো গল্প বলতে সাহস পাবো এই ভেবে যে- আমাদের একটা বড় দর্শক আছে উত্তর আমেরিকায়। শুধু তাদের উপর ভর করেই আমরা পার হতে পারবো ভবতরী! শনিবার বিকেল দেখার এবং দেখা শেষে লেখার আমন্ত্রণ সবাইকে।’

 

Advertisement
Share.

Leave A Reply