fbpx

ক্যানসার প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিশ্বখ্যাত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিয়ে ক্যানসার প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

বুধবার বিএসএমএমইউয়ে আন্তর্জাতিক শিশু ক্যানসার দিবস-২০২৩ পালন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-ব্লকে শিশু হেমাটোলজি বিভাগের উদ্যোগে ‘বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন ইন চিলড্রেন এন্ড ক্যানসার ভ্যাকসিন ইন চাইল্ডহুড ম্যালিগন্যান্সি’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় এক সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

ডা. মো. শারফুদ্দিন বলেন, ক্যানসার প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, স্টেমসেল থেরাপি নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। বাস্তবায়ন করতে হবে বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন কার্যক্রম।

উপাচার্য আরও বলেন, বিএসএমএমইউয়ের শিশু হেমাটোলজি অনকোলজি বিভাগের চিকিৎসকরা ৩১ শয্যার ওয়ার্ড নিয়ে ১০ হাজার শিশু রোগীকে সেবা দিয়েছেন, যা প্রশংসার দাবি রাখে।

সেমিনারে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লাান্টেশন ইন চিলড্রেন’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নারায়না হেলথ সিটি ব্যাঙ্গালোর, ভারত থেকে আগত সিনিয়র কনসাল্টেন্ট ডা. সুনিল ভাট এবং ‘ক্যানসার ভ্যাক্সিন ইন চাইল্ডহুড ম্যালিগনেন্সি’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু হেমাটোলজি এন্ড অনকোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রেনেসা ইসলাম।

সেমিনারে বলা হয়, প্রতিবছরই ক্যানসার আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। শিশুদের সাধারণত ব্লাড ক্যানসার বা লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হার অন্যান্য ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়া থেকে বেশি। তবে এছাড়াও কিডনির টিউমার, লিভারের টিউমার, চোখের টিউমার, ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হওয়া শিশুর সংখ্যাও কম নয়।

ওয়ার্ল্ড চাইল্ড ক্যানসার এর হিসাব মতে বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৪ লাখ শিশু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। দ্রুততম সময়ে শনাক্ত করা গেলে ও উন্নত চিকিৎসা পেলে শতকরা ৭০ ভাগ রোগী সেরে উঠতে পারে। উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে উন্নত দেশগুলোতে ক্যানসার থেকে সেরে উঠা রোগীর হার শতকরা প্রায় ৮০-৮৫ শতাংশ।

Advertisement
Share.

Leave A Reply