fbpx

খানসামার সেই চাষিদের কাছ থেকে শসা কিনল স্বপ্ন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও শসার দাম নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। এদিকে শসা উৎপাদন করে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসা চাষিরা। চাষিদের এই  দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সেরা রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’।

সেই শসা চাষিদের সাথে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে শসা কিনেছে ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে ২ টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ৬ টন শসা কিনেছেন স্বপ্ন প্রতিনিধি। খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে বিক্রি হচ্ছে সেসব শশা।

বৃহস্পতিবার খোলা বাজারে ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২টাকা কেজিতে অর্থাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে গ্রাহকরা কিনতে পারছেন। স্টক থাকা অবধি এই অফার গ্রাহকরা পাবেন।

স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, আমরা শসা চাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশকিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্যমূল্যে। অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে।

স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেস সাজ্জাদুল হক বলেন, গণমাধ্যমে শসা চাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, এই কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াব। দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।

মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সাথে সরাসরি সেতুবন্ধনের চেষ্টা করার প্রসঙ্গে স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসা চাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, এই কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াবো। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরই মধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি। দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।

দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন জানান, প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার। কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায় । প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পর ৫ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি। অনেক শসা নষ্টও হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল।

তিনি জানান, এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানির ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার । তাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ জানান তিনি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply