বাংলাদেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবন-যাত্রার মানের বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে নানামুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করছে সরকার। এমনটাই এক বাণীতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার (৪ অক্টোবর) ‘বিশ্ব বসতি দিবস’। প্রতি বছরের মতো এবারও দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘নগরীয় কর্মপন্থা প্রয়োগ করি, কার্বনমুক্ত বিশ্ব গড়ি’।
দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নদীভাঙনে বাস্তুচ্যুত অসহায় ও বস্তিবাসীসহ দেশের গৃহহীন-ভূমিহীনদের ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’ এর মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সংবিধানের নিয়ম মেনে নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবন যাত্রার মানের বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে আমাদের সরকার নানামুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করছে। বাংলাদেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না, ইনশাআল্লাহ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সুবিধাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। এরইমধ্যে, সরকারি চাকরিজীবীদের আবাসন সুবিধা ২৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। চলমান প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়িত হলে ২০২৩ সালে এ আবাসন সুবিধা ২৮ শতাংশে উন্নীত হবে।‘
সরকারপ্রধান আরও জানান, ‘এসব বহুতল আবাসন প্রকল্পে জমির ন্যূনতম দুই তৃতীয়াংশ স্থান উন্মুক্ত রাখা অথবা জলাধারের সংস্থান এবং টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে নাগরিক জীবনে কার্বন নিঃসরণ বহুলাংশে কমে যাবে।‘
শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা মহানগরীর জন্য প্রণয়নাধীন ভবিষ্যৎ মহাপরিকল্পনা ‘ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (২০১৬-৩৫)’ এ নগরীতে পরিকল্পিত বৃক্ষায়ন, টেকসই উন্নয়ন, দূষণরোধ, উন্নত প্রযুক্তিতে আবর্জনা প্রক্রিয়াকরণসহ বিভিন্ন পলিসি প্রদান করা হয়েছে, যা গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণরোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। এছাড়া, বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে দেশে পরিবেশবান্ধব নির্মাণসামগ্রী প্রস্তুত ও এর বহুল ব্যবহার নিশ্চিতকরণের পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব বসতি দিবস-২০২১’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করে বলেন, ‘সবার সার্বিক সহযোগিতায় বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে কার্বন নিঃসরণমুক্ত উন্নয়নের উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো বলে আমি বিশ্বাস করি। ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। এ লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’
