fbpx

গ্রাহকের কয়েক কোটি হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা সমবায় সমিতি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রায় দুইশ গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকার সাভারের একটি সমবায় সমিতির মালিকদের বিরুদ্ধে।

চেতনা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ নামে ওই সমিতিতে গ্রাহকরা এফডিআর ও সঞ্চয়ের লাখ লাখ টাকা লগ্নি করেছেন, এখন এই টাকা হারিয়ে দিশেহারা গ্রাহকরা। শুধু তাই নয়,সমিতির মালিকানাধীন জায়গাটিও গোপনে বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ গ্রাহকের।

জানা গেছে, সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া ছয়তলা রূপায়ন মাঠ এলাকায় প্রায় ১৭ বছর ধরে চেতনা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। সর্বশেষ সমিতিতে জমা রাখা প্রতি লাখের বিপরীতে ১৮০০ টাকা করে লাভ দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এজন্য বেশি লাভের আশায় প্রায় ২০০ গ্রাহক এতে বিনিয়োগ করেন।

কিন্ত কয়েক মাস আগে কয়েকজন গ্রাহক তাদের লগ্নিকৃত অর্থ ফেরত চাইলে মেয়াদ শেষ না হলে তোলা যাবে না বলে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়। কিন্ত সম্প্রতি সমতির নাম বদলে কার্যালয়ের সামনে অন্য একটি সাইনবোর্ড ঝুলতে দেখায় গ্রাহকদের মনে সন্দেহ হয়।

তারা জানতে পারেন, ১৫ মার্চের মধ্যেই চেতনা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির চেয়ারম্যান তাইজুল ইসলাম, মালিক ও ম্যানেজার মাহমুদুল্লাহ ইকবালসহ ১৫ জন মালিক সমিতির জমি বিক্রি করে লাপাত্তা হয়ে গেছেন।

জামগড়া ছয়তলা রূপায়ন মাঠ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সমিতির কার্যালয়ের সামনে তালা ঝুলছে। মঞ্জুরুল ইসলাম বুলবুল নামের এক ব্যক্তি সমিতির জায়গাসহ টিনশেডের ভবনটি কিনেছেন, এমন  একটি তথ্য দেয়ালে লেখা রয়েছে। এসময় ভুক্তভোগী গ্রাহকদের সমিতির সামনে বসে কান্নাকাটি করতে দেখা যায়।

তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে গেলেও তাদের অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেন।

এ বিষয়ে চেতনা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান রেজা কিবরিয়া রাজুর সঙ্গে একাধিকার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তাকে পাঠানো এসএমএসের উত্তরে তিনি লেখেন, ‘আমি চেতনা পরিবার লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান, চেতনা মাল্টিপারপাসের নই। দুইটা টোটালি আলাদা প্রতিষ্ঠান। যে সমস্যা হয়েছে সেটি চেতনা মাল্টিপারপাসের।’

সমিতির জায়গা কেনা মঞ্জুরুল ইসলাম মন্ডল জানান, কিছুদিন আগে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তিনি সমিতির মালিকদের কাছ থেকে ৮.১৩ শতাংশ জায়গা কেনেন। তবে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার বিষয়টি তিনি  জানতেন না।

অন্যদিকে গ্রাহকদের অভিযোগ না নেয়ার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি আমার জানা নেই। তবে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়ে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply