সারাদেশে চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহে দুর্ভোগে পড়েছে পাটুরিয়া-দৌলদিয়া নৌপথে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহন। ঘন কুয়াশার কারণে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌপথে বুধবার মধ্য রাত থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে মাঝনদীতে আটকা পড়েছে একটি ফেরি।
শুধু তাই নয়,পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে দেড় শতাধিক যাত্রীবাহী বাস, দুই শতাধিক ব্যক্তিগত বিভিন্ন গাড়ি এবং চার শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। আর কনকনে ঠান্ডায় কুয়াশার মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন আটকে পড়া যাত্রী ও যানবাহনের শ্রমিকেরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৬টি ফেরির মধ্যে ১৪টি সচল রয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাকি দুটি ফেরি পাটুরিয়ায় ভাসমান কারখানায় মেরামত করতে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার রাত ১০টার পর থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় নদী কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
ধীরে ধীরে কুয়াশার মাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা গোলাম মওলা নামের একটি রো রো ফেরি মাঝপদ্মায় নোঙর করতে বাধ্য হয়। আর পাটুরিয়া প্রান্তে আটটি ও দৌলতদিয়া প্রান্তে ছয়টি ফেরি অবস্থান করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যক্তিগত বিভিন্ন গাড়ি পাটুরিয়ার পাঁচ নম্বর ঘাট থেকে আরসিএল মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ সারিতে আটকা পড়েছে। এছাড়া পণ্যবাহী গাড়িগুলো পাটুরিয়ায় টার্মিনাল, পাটুরিয়া-উথলী সড়ক ও উথলী মোড় এলাকায় সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে।
কনকনে শীতের মধ্যে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকেরা। বিশেষ করে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের দুর্ভোগ বেশি। এছাড়া শৌচাগার ও খাবার হোটেলের অপ্রতুলতা তাদের এই দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে।
পণ্যবাহী যানবাহন শ্রমিকদের ভোগান্তি আরও বেশি। এক বেলা কুয়াশায় ফেরি বন্ধ থাকলে দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত এসব যানবাহন শ্রমিকদের ঘাটে আটকে থাকতে হয়।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহিউদ্দিন রাসেল বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ফেরি চলাচল শুরু হলে যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়িগুলো আগে পারাপার হওয়ার সুযোগ পাবে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমে আসবে।