চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ক্যাম্পাসে এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনার মূলহোতাসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
২৩ জুলাই (শনিবার) সকালে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার। তিনি বলেন, (চবি) ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনার চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে বেলা ১১টায় ব্রিফিং-এ বিস্তারিত জানাবেন র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ।
এর আগে গত ৭ জুলাই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হল থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে যাওয়ার রাস্তায় যৌন নির্যাতনের শিকার হন এক ছাত্রী। পাঁচ তরুণ তাকে বেঁধে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা এক বন্ধু প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় মামলা করেন ভুক্তভোগী। এতে অজ্ঞাতনামা পাঁচ জনকে আসামি করা হয়।
এই ঘটনায় নানা আলোচনা-সমালোচনার পরে গত ১৯ জুলাই (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের আবাসিক হলে রাত ১০টার মধ্যে হলে প্রবেশের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এরপর ২০ জুলাই মধ্যরাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন হলের ছাত্রীরা।
এদিকে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনকে ধরতে শুক্রবার রাতে আবাসিক শাহ আমানত হলে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি।
অভিযান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান বলেন, ‘ভুক্তভোগী ছাত্রী সময় ও জায়গার বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন। এ কারণে জড়িতদের শনাক্ত করতে সময় লেগেছে। পরে ছাত্রীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুই জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের একজনের নাম মেহেদী হাসান ও আরেকজন আজিম হোসাইন। তারা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হকের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।