fbpx

 চলছে কর্ণফুলীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধনের প্রস্তুতি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আগামী ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করা হবে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ মেগা প্রকল্পটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। উদ্বোধনকে ঘিরে টানেল প্রকল্পের দুই প্রান্তে চলছে নানা প্রস্তুতি।

১০ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই টানেল দিয়ে প্রতিদিন ১৭ হাজার ২৬০টি যানবাহন পার হতে পারবে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও আনোয়ারাকে সংযুক্ত করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটারের এ টানেল শুধু দুই পাড়কে সংযুক্ত করেনি, ওয়ান সিটি টু টাউন কনসেপ্ট বাস্তবায়িত হয়েছে। মাত্র তিন মিনিট থেকে সাড়ে তিন মিনিটের মধ্যে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পাড় হওয়া যাবে।

উদ্বোধন প্রসঙ্গে টানেল নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ বলেন, যানবাহন চলাচলের জন্য এখন পুরোপুরি প্রস্তুত টানেল। ইতোমধ্যে একাধিক বার পরীক্ষামূলক গাড়ি চলাচল করেছে। আগামী ২৮ অক্টোবর এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরদিন ২৯ অক্টোবর থেকে টানেল যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। বর্তমানে পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৯৯ শতাংশ। এ প্রকল্পে কিছু ভবন নির্মাণের কাজ বাকি আছে সেগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে।

হারুনুর রশীদ আরও বলেন, টানেলের নিরাপত্তায় ১০০টির বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। একই সঙ্গে নিরাপত্তায় দুই পাশে থাকবে পুলিশ ফাঁড়ি এবং ফায়ার সার্ভিস স্টেশন। এ ছাড়াও অগ্নিনির্বাপণে আছে নিজস্ব অত্যাধুনিক ব্যবস্থাও। টানেলে সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ জন্য পাঁচ মেগাওয়াট করে দশ মেগাওয়াটের দুটি বিদ্যুতের সাব স্টেশন বসানো হয়েছে। এ ছাড়াও আছে নিজস্ব বিদ্যুতের ব্যবস্থাও।

তিনি বলেন, ‘পায়ে হেঁটে টানেল পার হওয়া যাবে না। একইভাবে মোটরসাইকেল এবং তিন চাকার যানবাহনও চলাচল করবে না টানেল দিয়ে। ইতোমধ্যে কোন যানবাহন থেকে কী ধরনের টোল নেওয়া হবে তা মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করেছে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল চালু হলে চীনের সাংহাই শহরের আদলে ওয়ান সিটি টু টাউন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন একধাপ এগিয়ে যাবে। টানেল চালু হলে চট্টগ্রাম নগরীর পরিধি বাড়বে। টানেলের এক প্রান্তে চট্টগ্রাম শহর। অপর প্রান্তে রয়েছে আনোয়ারা উপজেলা। শহরের খুব কাছে থাকলেও এ উপজেলা এতদিন অবহেলিত ছিল। টানেল নির্মাণের মধ্যে দিয়ে আরেকটি শহরে রূপ নিচ্ছে আনোয়ারা। ইতোমধ্যে আনোয়ারা উপজেলায় জমির দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। আনোয়ারা উপজেলা প্রান্তে টানেল সংযোগ সড়কের দুই পাশে গড়ে উঠছে ছোট-বড় অসংখ্য শিল্প-কারখানা। টানেল চালু হলে কর্ণফুলী নদী পাড়ি দিতে সময় লাগবে মাত্র তিন মিনিট। সময় বেঁচে যাওয়ায় অর্থনীতি গতি পাবে।

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরে টানেলটি নির্মাণ করা হচ্ছে। মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। চার লেন বিশিষ্ট দুটি টিউবের প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। এ ছাড়া, মূল টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং আনোয়ারা প্রান্তে ৭২৭ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি ফ্লাইওভার থাকবে।

২০১৫ সালের নভেম্বরে অনুমোদন পায় প্রকল্পটি। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

Advertisement
Share.

Leave A Reply