fbpx

চাঁদে ‘রহস্যময় কুঁড়েঘর’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চাঁদে একটি রহস্যময় বস্তুর সন্ধান পেয়েছে চীনা রোভার। বস্তুটি দেখতে একটি কুঁড়ে ঘরের মত বলে দাবি করছে চীনা বিজ্ঞানীরা।

গত তিন বছর হলো চাঁদে ক্রেটারে রোবটযান পাঠিয়েছে চীন। ইয়ুতু-২ নামে রোবটযানটির ক্যামেরায় ধরা পড়লো অদ্ভুদ কুঁড়ে ঘরের মতো একটি বস্তু। ছবিটি দেখতে ঘোলা হলেও সেখানে দেখা যাচ্ছে চাঁদের নির্বিশেষ পাথুরে ভূমি।

তবে কিছুটা দূরে মাটি থেকে খানিকটা উঁচু চারকোনা এক আকৃতি দেখা যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাটের চীনা সংস্করণে এক পোস্টে চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিএনএসএ) সে আকৃতিকে ‘রহস্যময় কুঁড়েঘর’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। খানিকটা মজা করেই তারা লিখেছে, ‘এটা কি জরুরি অবতরণের পর এলিয়েনদের তৈরি ঘর? নাকি চাঁদকে জানার জন্য পূর্বসূরিদের পাঠানো কোনো নভোযান?’

ভন কারমার ক্রেটারে কাজ চালাচ্ছে চীনা ইউতু ২ রোভার। যা চাঁদের অন্যতম বড় এবং গভীরতম গর্ত বলে দাবি করা হয়েছে। স্পেসডটকমের একটি প্রতিবেদনে এমনই জানানো হয়েছে।

ওই প্রতিবেদন বলা হয়েছে, চাঁদে পৌঁছানোর প্রায় দু’বছর পর সেই ‘রহস্যময় কুঁড়েঘর’-এর সন্ধান পেয়েছে ইউতু ২ রোভার। আপাতত যেখানে সেই রোভার আছে, তার ৮০ মিটার দূরে যেখানে সেই রহস্যময় বস্তুর সন্ধান মিলেছে।

এছাড়া আওয়ার স্পেস নামে একটি চীনা ভাষার চ্যানেলে (চীনা জাতীয় মহাকাশ প্রশাসনের অনুমোদন প্রাপ্ত চ্যানেল) নিয়মিত সম্প্রচারিত ইউতু ডায়েরি ২-কে উদ্ধৃত করে স্পেসডটকম জানিয়েছে, হঠাৎ উত্তরের আকাশে একটি রহস্যময় ঘনক দেখা গিয়েছে। সেটা এমনভাবে আছে, দেখে মনে হচ্ছে যে সেটা যেন একটা ‘কুঁড়েঘর’। যা হঠাৎ সামনে এসেছে। ‘ক্র্যাশ ল্যান্ডিংয়ের পর এটা কি ভিনগ্রহের বাসিন্দারা এই বাড়ি তৈরি করেছে? নাকি চাঁদে আসা কোনো রোভার, যা আগে এসেছিল?’

যানটি যেখানে আছে, সেখান থেকে বস্তুটির দূরত্ব ২৬০ ফুটের মতো। তবে দুই থেকে তিন মাসের আগে সেটুকু দূরত্ব পেরোবে না রোবটযানটি।

২০১৯ সালের জানুয়ারিতে চন্দ্রপৃষ্ঠে নামে ইয়ুতু-২। শুরুতে কেবল তিন মাসের জন্য পাঠানোর কথা ছিল সেটি। অথচ তৃতীয় বছর শেষ হতে চলেছে, এখনো কাজ করে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply