fbpx

চার মাসে বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব ঘাটতি ৩১২ কোটি টাকা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ৩১২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এই চার মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল এক হাজার ৪৯৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে এক হাজার ১৮৪ কোটি ৯ লাখ টাকা।

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম আদায় হলেও ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম চার মাসের চেয়ে ৫৪ কোটি টাকা বেশি আদায় হয়েছে। সেসময় আদায় হয়েছিল এক হাজার ১৩০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আমদানি-রপ্তানি থেকে চলতি অর্থবছর বেনাপোল কাস্টমসকে ৬ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এর আগের বছর ২০২০-২১ রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ২৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। সেসময় আদায় হয়েছিল ৪ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। ফলে ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৫৭ কোটি টাকা।

বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, জুলাই মাসে রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩১২ কোটি টাকা, সেখানে আদায় হয়েছে ২৩৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আগষ্টে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৯৪ কোটি টাকা, আদায় হয়েছে ৩৩২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৬২ কোটি টাকা, আদায় হয়েছে ৩৩৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা এবং অক্টোবরে ৩২৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ২৭৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ‘গেল দুই বছর করোনার কারণে ব্যবসায়ীরা ভারতে যেতে না পারায় চাহিদামতো পণ্য আমদানি করতে পারেননি। এতে রাজস্ব আয় ব্যাহত হয়েছে। ‘

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, ‘বেনাপোল কাস্টমসে আমদানি পণ্যের গুণগত মান পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেই। এতে খুলনা ও ঢাকা থেকে পরীক্ষা করাতে এক মাসের বেশি সময় লেগে যায়। এতে যেমন সময় অপচয় হয়, তেমনি বন্দরে পণ্য আটকে থাকায় ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন। বেনাপোল কাস্টমস হাউজে বিএসটিআই ও বিএসআইরের শাখা স্থাপনের দাবি আজও পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। এতে অনেক ব্যবসায়ী এ বন্দর ছেড়েছেন।‘

Advertisement
Share.

Leave A Reply