fbpx

চিনির দাম আরও বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চিনির বাজার কোনোক্রমেই স্বাভাবিক হচ্ছে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার চিনির দাম বেঁধে দিলেও বেশিরভাগ ব্যবসায়ী সেই দাম মানছেন না। ফলে নতুন দর নির্ধারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে, এমনটাই দাবি চিনি উৎপাদন ও বিপণনকারী কোম্পানিগুলোর সমিতির। তাই তারা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে (বিটিটিসি) চিঠির অনুলিপি প্রদান করেছে।

বিটিটিসি চেয়ারম্যান মাহফুজা আখতার বলেন, চিনি বিপণনকারীদের চিঠি আমরা পেয়েছি। সেটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর চিনির মূল্য বেঁধে দেয় কমিশন। এতে জানানো হয়, প্রতি কেজি খোলা চিনি ৮৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত ৮৯ টাকা ধার্য করা হয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও পাড়া-মহল্লার দোকানে কেজিতে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। আর বাজারে কেজিপ্রতি ৮৮ টাকায় ও প্যাকেটজাত চিনি ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ফলে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি কেজি চিনিতে ক্রেতাদের বেশি গুণতে হচ্ছে ৪ থেকে ৬ টাকা।

বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশনের (টিসিবি) হিসাবে, রাজধানীতে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়ছে ৯০ থেকে ৯২ টাকা। সরকার নির্ধারণ করা দরের চেয়ে যা ২ থেকে ৪ টাকা বেশি।

চিঠিতে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন উল্লেখ করে, গত ১১ আগস্ট চিনির দাম নির্ধারণে আবেদন করে তারা। পরিপ্রেক্ষিতে ১১ সেপ্টেম্বর সভা হয়। তবে ডলারের দামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে চিনির মূল্যও নির্ধারণ হয়নি।

চিনি বিপণনকারী শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, সরকার নির্ধারিত দামটি যথাযথ হয়নি। তাই নতুন করে আবেদন করা হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply