যত বাধা আসুক, যত প্রতিবন্ধকতাই থাকুক, জনগণকে সাথে নিয়ে জিআইএস ম্যাপ অনুযায়ী নগরীর প্রত্যেকটি খাল উদ্ধার করা হবে, জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর মোহাম্মদপুর বসিলায় লাউতলা খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ও খাল খননের কাজ পরিচালনা করার সময় গণমাধ্যমকে একথা বলেন তিনি।
মেয়র আতিক বলেন, ‘টানা ৩ দিনের অভিযানের ফলশ্রুতিতে অস্তিত্বহীন লাউতলা খালটি এখন দৃশ্যমান। স্থানীয় জনগণের সহায়তায় এই অসম্ভব কাজটি সম্ভব হয়েছে। বসিলাবাসীর স্বার্থেই প্রায় আড়াই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট লাউতলা খালটিকে বুড়িগঙ্গা নদীর সাথে সংযুক্ত করে এতে পানি প্রবাহের সৃষ্টি করা হবে।‘
অবৈধ দখলদারদের উদ্দেশ্যে ডিএনসিসি মেয়র আবারও কঠোর হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, ‘অবৈধ দখলদারদের নামে কোন বৈধ নোটিশ ইস্যু করা হবে না। বিনা নোটিশেই তাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে। তাই ইতোমধ্যে যারা অবৈধভাবে খাল দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন, তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে হবে। অন্যথায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।‘
উত্তরের মেয়র আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় ডিএনসিসির আওতাধীন খালগুলোর সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে, প্রত্যেকটি খালে সীমানা পিলার স্থাপন, ওয়াকওয়ে নির্মাণ এবং যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সকল খালের উভয় পাশেই নির্ধারিত সীমানার কমপক্ষে ২০ ফুট পর্যন্ত কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যাবেনা।‘
‘সময়ের চাহিদায অনুযায়ী নগরীর ব্যস্ততম এলাকা থেকে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলো সরিয়ে সুবিধাজনক স্থানে স্থাপন করতে হবে,’ বলেও জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।