fbpx

জন্মসনদ দিতে হয়রানি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে সাধারণ মানুষ যাতে কোনোভাবেই হয়রানি অথবা দীর্ঘসূত্রতার স্বীকার না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত টাকা নিলে কিংবা টাকার জন্য হয়রানি করলে কঠোর শাস্তির হুশিয়ারি দেন মন্ত্রী।

রবিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন অথবা ভুল সংশোধন করতে গিয়ে সাধারণ মানুষ যেসব কারণে হয়রানি হচ্ছে তা খুঁজে বের করে দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সাধারণ একটি ভুল-ভ্রান্তির জন্য মানুষ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে হয়রানি হয়। বিভিন্ন দেশে আমাদের দূতাবাসগুলো থেকে অনেক অভিযোগ আসে। নানা জটিলতার কারণে নিবন্ধন সংক্রান্ত সেবা পাচ্ছে না। এভাবে চলতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, জন্মনিবন্ধন প্রাপ্তি কিভাবে আরো সহজ করা যায় সেজন্যই আজকের এই সভা। জন্মনিবন্ধন প্রপ্তিতে যে কোনো স্তরে জনগণকে কোনো ধরনের হয়রানি করা হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জন্মনিবন্ধন ইদানিং খুব বার্নিং ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন সময়ে নানা অভিযোগ আসছে। সকল সমস্যা আমলে তা সমাধানের বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে।

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি’র বেশি অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ এধরনের কাজে যুক্ত থাকে প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সার্ভারের সমস্যা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, সার্ভারে যদি সমস্যা থাকে তাহলে দ্রুত সমাধান করার করতে হবে। এক্ষেত্রে চলমান সফটওয়্যারে পরিবর্তনের পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তি সংযোজন করার জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন তিনি।

সার্ভার জটিলতা প্রসঙ্গে মো. তাজুল ইসলাম আরো বলেন, আমাদের এখানে সার্ভার নতুনভাবে ইনস্টল করার কারণে কিছুদিন সিস্টেম শাটডাউন ছিলো। এখন চালু হয়েছে। ইউনিসেফ আমাদের আর্থিক ও কারিগরিভাবে সহায়তা করেছে। তারা নিজেরাও দেখভাল করছে যাতে সুন্দরভাবে এটি পরিচালনা করা যায়।

মন্ত্রী বলেন, জন্মনিবন্ধন হলো একজন মানুষের মূলভিত্তি। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ব্যবস্থাকে সহজ করার কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বাররা জন্ম তারিখ, পিতা মাতার নামসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। চেয়ারম্যানরা মাসিক মিটিংয়ে এ সংক্রান্ত করণীয় বিষয়ে বিশদ আলোচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply