দেশে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন করতে সরকার শিশু জরিপ শুরু করেছে। সারাদেশের শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত সব শিশুকে এই জরিপের আওতায় আনা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর খুব শিগগিরই এই জরিপের কাজ শুরু করবে বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘শূন্য থেকে ৫ বছর পর্যন্ত সব শিশুকে জরিপের আওতায় আনা হবে। এছাড়া বিদ্যালয়ে ভর্তির সময় অনেক শিশুকে খুঁজে পাওয়া যায় না। কোনো শিশু যাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভর্তির বাইরে না থাকে সে জন্য জরিপ করা হবে।’
এই জরিপের পর শিশুদের ইউনিক আইডি করা হবে বলেও জানান তিনি। আর আইডি হয়ে গেলে তখন আর জরিপের প্রয়োজন হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আর জন্ম নিবন্ধনের আওতায় শিশুরা এই ইউনিক আইডি পেয়ে যাবে বলে যোগ করেন তিনি।
জানা গেছে, প্রাথমিকে শিশু জরিপ এবং ৫ বছর থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি কার্যক্রম সম্পন্ন হলে ভবিষ্যতে জনসংখ্যা জরিপের কাজও এই প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা যাবে। জনসংখ্যা জরিপে যেসব তথ্য থাকে, এখানে তার চেয়ে অনেক বেশি তথ্য থাকবে।
সম্প্রতি মাসিক সমন্বয় সভায় শিশু জরিপের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে। সভায় বলা হয়, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ইউনিটের তত্ত্বাবধানে ২০১০ সালে শিশু শিক্ষা জরিপ করা হলেও প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি। ২০২০ সালে শিশু শুমারি সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নেয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সঙ্গে আলোচনা করলেও অর্থের অভাবে কোনও কার্যক্রম গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অধীন ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস’ (সিআরভিএস) প্রকল্পের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের ইউনিক আইডি এবং সকল তথ্যাদি সম্পন্ন করা হচ্ছে।
সভায় বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) -এর সঙ্গে আলোচনা করে জরিপ সম্পাদনের লক্ষ্যে নথি উপস্থাপন করার নির্দেশনা দেয়া হয়। এটি বাস্তবায়নের জন্য পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন ইউনিটের পরিচালককে দায়িত্ব দেওয়া হয় বলেও সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।