২০২৩ সাল থেকে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক শিফটে শিক্ষা কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আমিনুল ইসলাম খান।
রবিবার সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব বলেন, ‘আমাদের দুই কক্ষের স্কুল আছে। এক কক্ষের স্কুলও আছে। তিন কক্ষের স্কুলও আছে। এই দুই কক্ষে তো আসলে ছয়টা ক্লাস চালানো সম্ভব না। আর রাতারাতি আমরা ভবনও নির্মাণ করতে পারছি না। আমরা ছাত্র ও শিক্ষকসংখ্যা সবকিছু বিবেচনা করে দেশের সব স্কুলকে এক শিফটে আনার পরিকল্পনা করেছি। সে ব্যাপারে কাজ প্রায় ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একেক জায়গার জন্য আমরা একেক ধরনের কর্মকৌশল নির্ধারণ করব, যে কারণে বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে একটু সময় লাগছে। আমরা পর্যায়ক্রমে কাজটি করব, কিন্তু কোথাও স্কুলসংখ্যা কম, এমনও গ্রাম আছে, যেখানে তিন কিলোমিটারের মধ্যে মাত্র একটি স্কুল। তাতে দুটি কক্ষ আছে। সেখানে কক্ষ বাড়ানো ছাড়া কিছু করার সুযোগ নেই, যে কারণে আমরা বিভাগ অনুসারে, জেলা অনুসারে, উপজেলা অনুযায়ী, যেমন চরাঞ্চলে, হয়তো সেখানে ছাত্রসংখ্যা ৫০ জন, কিন্তু স্কুলটি রাখতে হচ্ছে। কারণ চরে তার পড়বার কোনো ব্যবস্থা নেই, যে কারণে বিষয়গুলো ঘটনা অনুসারে পর্যালোচনা করছি এবং নির্ভুলভাবে করার চেষ্টা করছি। আগামী জানুয়ারি থেকেই আমরা এটি করতে পারব। পুরোটা করতে না পারলেও অনেকটা শেষ করব।’
ক্লাসের সময়সূচি প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘ঢাকা কিংবা মহানগর এলাকার একটি সময় আছে, কিন্তু গ্রামের স্কুলগুলোতে একটু দেরি করে ক্লাস শুরু হয়। আবার স্কুলগুলো গ্রামে হলেও শিক্ষকেরা শহরে থাকেন, যে কারণে যাতায়াতের ব্যাপারটিও আমরা বিবেচনায় রাখছি, কিন্তু আমাদের লক্ষ হলো, শিক্ষকেরা ক্লাসে থাকছেন কি-না, সেটির ওপর। কারণ আমরা চাই, শিক্ষকেরা যাতে নিয়মিত পাঠদান করেন। আর টিচিং লার্নিং সময়টাও আমরা বাড়াতে চাই, যে কারণে আমরা এক শিফটে নিয়ে আসতে চাচ্ছি। তিন ঘণ্টার জায়গায় আমরা সাড়ে চার ঘণ্টা/পাঁচ ঘণ্টা করতে চাই।’