প্রতি বছরের মতো এবারও বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রাইড শেয়ারিং কোম্পানি উবার। ২০২২ সালে ১৫ কোটি কিলোমিটার ট্রিপ সম্পন্ন করা, রাইডশেয়ারিং খাতে শীর্ষস্থানীয় সেফটি স্ট্যান্ডার্ড স্থাপন করা, বাংলাদেশের আটটি বিভাগের প্রতিটিতে সার্ভিস চালু করা এবং বাংলাদেশের মহামারি সংকট মোকাবেলায় উবারের সহায়তা- এসব বিষয়গুলো এই প্রতিবেদনে গুরুত্ব পেয়েছে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিটি রাইডকে নিরাপদ করে তুলতে উবার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তাই অর্থপূর্ণ উপায়ে উবার অ্যাপ ব্যবহার করার মাধ্যমে সমাজকে সাহায্য করছে কোম্পানিটি। এছাড়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সড়ক নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে সাহায্য করা ও চালকদের অর্থ উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টি করা নিয়েও কাজ করছে এই প্রতিষ্ঠানটি। অন্তর্দৃষ্টি ও তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত এই প্রতিবেদনে এসব বিষয় গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হয়েছে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে ১৫ কোটি কিলোমিটার ট্রিপ সম্পন্ন করেছে উবার। এ বছর উবারের সার্ভিস বিস্তৃত হয়ে বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের ২০টি শহরে পৌঁছে গেছে।
২০২২ সালে ঢাকায় সর্বোচ্চ সংখ্যক লেট-নাইট ট্রিপ (রাত ১০টা-সকাল ৬টা) এবং অফিস আওয়ার ট্রিপ (সকাল ৭টা-১১টা এবং বিকাল ৪টা-রাত ৮টা) সম্পন্ন করেছে উবার। বাংলাদেশের যাত্রীরা দুপুর ২টা ও সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ট্রিপ বুক করেছেন। একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ট্রিপ বুক করা হয়েছে ৯ সেপ্টেম্বর। দিনটি ছিল শুক্রবার।
একইভাবে, ২০২২ সালে ট্রিপ বুক করার জন্য সপ্তাহের সবচেয়ে জনপ্রিয় দিনটি ছিল শুক্রবার। ট্রিপ বুকের ক্ষেত্রে এ বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাস ছিল অক্টোবর। এই মাসে গ্রাহকরা দুর্গা পূজা ও ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী একসাথে উদযাপন করেন।
চালকদের প্রশিক্ষণ: বাংলাদেশ পুলিশের সাথে যৌথ উদ্যোগে চালকদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ আয়োজন করে উবার। এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ছিলো চালকদের মধ্যে ট্র্যাফিক আইন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা। প্রশিক্ষণের প্রথম ধাপ পরিচালনা করেন বাংলাদেশ পুলিশের দু’জন এবং উবারের একজন প্রতিনিধি। এখানে সড়ক নিরাপত্তা, ট্র্যাফিক আইনকানুন, অফলাইন ট্রিপ, ট্রিপ ক্যান্সেলেশন ও নগদ টাকা ছাড়া ট্রিপ নিতে রাজি না হওয়া ইত্যাদি বিষয়ে চালকদের সচেতন করে তোলা হয়।
এছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য উবার অ্যাপে জাতীয় ইমার্জেন্সি নম্বর ৯৯৯, ট্রিপ ও লোকেশন শেয়ার করার জন্য একটি বিশেষ ফিচার এবং একটি সার্বক্ষণিক সেফটি হটলাইন চালু করা হয়েছে।