রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে জাল টাকা কারবারের সাথে জড়িত চক্রের প্রধান মো. হুমায়ন কবিরকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেফতার হুমায়ন একজন সাবেক পুলিশ সদস্য।
পুলিশ জানায়, সাবেক পুলিশ সদস্য হুমায়নের অজ্ঞাত কারণে চাকরি চলে যায়। পরে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়েন তিনি। একপর্যায়ে জাল টাকা উৎপাদন শুরু করেন। জাল টাকার কারবারের সাথে সাবেক এই পুলিশ সদস্য ছাড়াও কয়েকজন ব্যাংক কর্মকর্তার জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানায় ডিবি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ।
ডিবি প্রধান জানান, ‘প্রতি মাসে ৬০ লাখ টাকার জাল নোট বিক্রির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছিলেন হুমায়ন কবির। আর এই কারবার পরিচালনার জন্য তিনি ঢাকাসহ সারা দেশে একটা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন।’
তিনি বলেন, এই চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন উৎসবকে সামনে রেখে বাজারে জাল টাকা ছড়িয়ে দেন। বিভিন্ন হাটবাজারের দোকান, মার্কেট ও ব্যাংকের মাধ্যমে এসব টাকা ছড়িয়ে দেন চক্রের সদস্যরা। ব্যাংকে যখন ভিড় থাকে তখন কৌশলে গ্রাহককে জাল টাকা দিয়ে দেওয়া হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হুমায়ন এই কর্মকাণ্ডে জড়িত তার পাঁচ সহযোগীর নাম জানিয়েছে। তারা হলেন, ইমাম হোসেন (৩০), মো. আলাউদ্দিন (৩৫), মো. সাইফুল (৩০), মো. মজিবর (৩২) ও আলাউদ্দিন (৪২)। বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এই চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন সময় কারাগারে ছিলেন। সেখানেই তাঁদের পরিচয় হয়। পরে জামিনে বেরিয়ে একসঙ্গে জাল টাকার কারবারে জড়িয়ে পড়েন।
এছাড়া গ্রেপ্তারের সময় হুমায়ন কবিরের ফ্ল্যাটে তল্লাশি করে ১৬ লাখ জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার, লেমিনেশন মেশিন, পেস্টিং গামের কৌটা, টাকা তৈরির ডাইস, ফয়েল পেপার, টাকা তৈরির কাগজ, মোবাইল সেট উদ্ধার করেছে ডিবি।
