fbpx

জিআই স্বীকৃতি পেল নকশিকাঁথা, পান ও গুড়

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশের জিআই তালিকায় যুক্ত হলো আরো তিন পণ্য। এই তিন পণ্যকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে অনুমোদন দিয়ে জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নতুন তিন পণ্যের জিআই স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আরও তিনটি পণ্য বাংলাদেশের জিআই হিসেবে অনুমোদন দিয়ে জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে। পণ্য তিনটি হলো- যশোরের খেজুর গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশিকাঁথা। এ নিয়ে বাংলাদেশে অনুমোদিত জিআই পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১টি।

২০০৩ সালে বাংলাদেশে এ কাজের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে একে পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) নামে অভিহিত করা হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের ফলে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন ২০১৩ পাস হয়। এর দুই বছর পর ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বিধিমালা ২০১৫ প্রণয়ন করা হয়।

২০১৬ সালে জামদানি শাড়িকে বাংলাদেশে প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর স্বীকৃতি পায় আরও ২০টি পণ্য। সেগুলো হলো- বাংলাদেশের ইলিশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম, বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ চাল, বাংলাদেশের কালিজিরা, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহী-চাপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম, বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি, বাংলাদেশের শীতল পাটি, বগুড়ার দই, শেরপুরের তুলশীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই ও কুষ্টিয়ার তিলের খাজা।

সম্প্রতি অনুমোদিত তিনটি পণ্য হলো- টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃতসাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লা। এই তিন পণ্যের জিআই অনুমোদনের কপি ও জার্নাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

এতে জিআই পণ্যের সংখ্যা হয় ২৪টি। এরপর রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আমসহ আরো চারটি পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়। আজ আরও তিনটি জিআই পণ্যের জার্নাল প্রকাশিত হওয়ায় এর মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৩১টি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply