চলতি ২০২২ সালের জুলাই মাসে দেশে ৬৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৭৩৯ জন আর আহত হয়েছেন ২ হাজার ৪২ জন। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলে।
শনিবার (৬ আগস্ট) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুর্ঘটনার মাসভিত্তিক তথ্য জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জুলাই মাসে সারাদেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হয়েছে ২৯৬টি, যা মোট দুর্ঘটনার ৪৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৫১ জন, যা মোট নিহতের ৩৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
এ মাসে অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় মোটরসাইকেলে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। জুলাই মাসে দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত ১ হাজার ২১৮টি যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেল ৩১৭টি। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের তিন চাকার যান ২২১টি, ১৭৯টি ট্রাক, ১৮৮টি বাস, ৫৬টি পিকআপ, ২১টি কভার্ডভ্যান এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি নসিমন-করিমনের মতো ৮২টি যানবাহন এ সময় দুর্ঘটনায় পড়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, জুলাই মাসে নিহতদের মধ্যে প্রাইভেটকারের যাত্রী ছিলেন ৫৭ জন। এছাড়া তিন চাকার বিভিন্ন যানের যাত্রী ১৪৯ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি নসিমন-করিমনের মতো যানবাহনের যাত্রী ২৬ জন এবং বাইসাইকেল-রিকশার যাত্রী ছিলেন ২২ জন।
দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২৫২টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৯৯টি আঞ্চলিক সড়কে, ১০৯টি গ্রামীণ সড়কে, ৬৪টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জুলাই মাসে সারাদেশে ২৬টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৪১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩৩ জন। রেলপথ দুর্ঘটনায় রেলক্রসিংয়ে ঘটা দুর্ঘটনাগুলো যুক্ত করা হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, দেশে অরক্ষিত রেলক্রসিং ক্রমাগত বাড়ছে এবং এসব রেলক্রসিংয়ে মাঝেমধ্যেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে।
দুর্ঘটনার কারণ তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মানসিক ও শারীরিকভাবে’ অসুস্থ ড্রাইভারদের বেপরোয়া গতিতে পণ্যবাহী যানবাহন চালানো এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে তারা নিজেরা দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে এবং অন্যান্য যানবাহনকে আক্রান্ত করছে।
