চলতি অর্থবছর রেমিটেন্সের পালে হাওয়া লেগেছে। বছর শুরুর প্রথম মাসে রেমিটেন্সখাতে খুশির জোয়ার বয়ে গেছে। গত অর্থবছর এই খাতে যে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল, এর অনেকটাই কেটে গেছে। কেননা জুলাই মাসে প্রবাসীরা দেশে প্রায় ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বা ২২০ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন, যা গত বছরের জুলাই মাসের পুরো সময়ের চেয়েও ৫ শতাংশ বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এসময়ে আগের অর্থবছরের একই মাস জুলাইয়ের চেয়ে রেমিটেন্স বেড়েছে ১৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। গত বছরের জুলাইয়ে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে সবচেয়ে বেশি ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম রেমিটেন্সের এই প্রবাহে অর্থনীতিতে তৈরি হওয়া চাপ অনেকাংশে কেটে যাবে বলে আশা করছেন। তিনি বলেন, ‘প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠাতে প্রণোদনা বাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সরকার বিভিন্ন নীতি সহায়তা দিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও প্রবাসীদের বৈধভাবে রেমিটেন্স পাঠাতে উৎসাহ দিয়ে আসছে। আগের চেয়ে বেশি দর পাওয়ায় প্রবাসীরা উৎসাহী হয়ে জুলাই মাসে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন।’
সাধারণত দুই ঈদের আগে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বাড়ে, ঈদের পর কমে যায়। তবে এবার কোরবানির ঈদের আগে যে গতিতে প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন, এখনও সেই ধারা অব্যহত আছে।
গত ৩০ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২২-২৩ অর্থবছরের নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে। এতে বলা হয়, রেমিটেন্স ঊর্ধ্বমুখী হবে এবং চলতি অর্থবছরে গত বছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি আসবে।
২০২১-২২ অর্থবছরের জুন মাসে প্রবাসী আয়ে মন্দা দেখা দেয়। পুরো অর্থবছরে ২ হাজার ১০৩ কোটি (২১.০৩ বিলিয়ন) ডলার আসে। গত অর্থবছরে গড়ে প্রতিদিন ৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
তবে ২০২০-২১ অর্থবছর রেমিটেন্স প্রবৃদ্ধি ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ওই সময়ে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি (২৪.৭৮ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স পাঠান প্রবাসীরা।