দেশে যতদিন পর্যন্ত নভেল করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব থাকবে ততদিন টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। ২৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কার্যালয়ে ‘একদিনে এক কোটি’ করোনার টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, টিকা গ্রহণ বাধ্যতামূলক করে সারা দেশে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানোর কারণে মানুষের মধ্যে সাড়া পড়েছে এবং টিকা নিতে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। টিকা প্রদানে এরই মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম হয়েছে। তাই সারা বিশ্বের করোনা পরিস্থিতির তুলনায় বাংলাদেশ সবচেয়ে ভালো অবস্থার মধ্যে রয়েছে এবং মৃত্যুর হারও কম।
তিনি আরো বলেন, একদিনে এক কোটি গণটিকা দান কার্যক্রমের আওতায় নারায়ণগঞ্জে ২১৭টি কেন্দ্রে টিকা দেয়া হচ্ছে। সাড়ে ছয় হাজার স্বাস্থ্য কর্মীর ব্যবস্থাপনায় পুরো জেলায় প্রায় সাত লক্ষ টিকা দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে এবং একজন মানুষও টিকার বাইরে থাকবে না। যতদিন পর্যন্ত লাগবে ততদিন পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচি চলবে।
পরবর্তীতে তিনি নগরীর বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা-পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, সিভিল সার্জন আবুল ফজল মোহাম্মদ মশিউর রহমান এবং সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আল হাসান ফেরদৌসসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, নারায়ণগঞ্জে ৬০ লাখের বেশি মানুষের বসবাস। তবে এরই মধ্যে বেশীর ভাগ মানুষ টিকার আওতায় আসা নিয়ে আসা হয়েছে। গত দুই দিনে পাঁচ লক্ষ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ১২ বছর থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুল কলেজের এক কোটি ৬০ লাখ ছেলে মেয়ের মধ্যে টিকাদান সম্পন্ন করেছি। বাকিদেরও এ কর্মসূচীর আওতায় আনা হবে। যারা এখনো টিকা নেননি তাদের টিকা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।