fbpx

টিকা উৎপাদন করে অন্য দেশে পাঠানোর সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে : প্রধানমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দেশে করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন করে অন্য দেশকে দেওয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে এ কথা বলেন তিনি।

সাম্প্রতিক বিদেশ সফরের কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, ‘আজকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আমাদের যে সাফল্য, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। আমি এটাও বলে এসেছি, আমরা নিজেরা ভ্যাকসিন তৈরি করতে চাই। ভ্যাকসিন তৈরি করার যে বাধাগুলো আছে, সেগুলি আপনাদের সরিয়ে দিতে হবে।’

করোনাভাইরাসের টিকা যেন সর্বজনীন হয়, সেই আহ্বান বিশ্বনেতাদের জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি বলেন, ‘আমাদেরকে সুযোগ দিলে আমরা উৎপাদন করব। আমরা বিশ্বে দিতে পারব। সে সক্ষমতা আমাদের আছে। জমিও নিয়ে রেখেছি। এভাবে উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’

সংসদের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর নামে পুরস্কার চালু করায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘এখন আমরা পিছিয়ে নেই। আমি ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশের জনগণকে। তারা বারবার আমায় ভোট দিয়েছে। সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। এক দশকের ভেতরে বাংলাদেশের পরিবর্তন সারাবিশ্বে একটা মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশের কাউকে বাইরে গিয়ে কথা শুনতে  হয় না।’

সংসদ নেতা বলেন, ‘ভালো কাজটা চোখে না দেখলে আমাদের কিছু বলার নেই। আমাদের যে সিআরআই আমরা তৈরি করেছি। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন- এটা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটা গবেষণা প্রতিষ্ঠান। যে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটা ২০০১ সালে অপারেশন ক্লিন হার্টের খালেদা জিয়া বন্ধ করে দিয়েছিল, আমরা পুনরায় চালু করি।’

যুব সমাজকে উৎসাহিত করতে সেখান থেকে ইয়াংবাংলা নামে একটা উদ্যোগ নেওয়া হয় উল্লেখ করে সংসদ নেতা বলেন, ‘তাদেরকে স্টার্টআপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। তাদেরকে এটাও বলা হয়, শুধু চাকরির পেছনে ঘুরবে কেন, চাকরি দেবার যোগ্যতা অর্জন করবে। নিজের পায়ে দাঁড়াবে। নিজের ব্যবসা করবে, নিজেরা অন্যকে চাকরি দেবে। এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে আমাদের সরকারের আমলে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি (স্পিকার) জানেন যে আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং রেহানার (বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা) ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ আমাদের কিছু তরুণ সংসদ সদস্য মিলেই কিন্তু ইয়াবাংলা স্টার্টআপ প্রোগ্রাম নিয়েছে। এই প্রোগ্রামের জন্য আমরা বিশেষ বরাদ্দও রেখেছি।’

উদ্যোক্তাদের অণুপ্রাণিত করতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছেলেমেয়েরা যদি কেউ উদ্যোগ নিতে চায়, আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব। অনলাইনে কেনাবেচা, ই-কমার্স, টেন্ডার এগুলোতো হয়েছে বাংলাদেশে। সামনে আরো সময় আছে। আরো হবে। এক দিনেতো হয় না। ধাপে ধাপে করতে হয়।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‌মোটিভ ক্রিয়েশন’ নামে উগান্ডার একটি সংগঠন যে এবারের ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ পুরস্কার পেয়েছে, একদিন ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশেরও কোনো না কোনো উদ্যোক্তা এই পুরস্কারটা পাবে বলে আমি আশা করি।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply