সন্তান হারানোর কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্য। স্থানীয় সময়, মঙ্গলবার উভালদে শহরের একটি প্রাইমারি স্কুলে বন্দুক হামলায় ঝরে গেছে ১৯ শিক্ষার্থীসহ ২১ জনের প্রাণ। সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, নিহত শিশুদের বয়স সাত থেকে দশ বছরের মধ্যে।
টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন হামলাকারি ১৮ বছরের এক তরুণ, নাম সালভাদর রামোস। তার হাতে একটি বন্দুক ও AR-15 সেমি অটোমেটিক রাইফেল ছিল। পুলিশের পাল্টা গুলিতে হামলাকারী নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্য বলছে, চলতি মাসের সব শেষ ১৫ দিনেই দেশটির বিভিন্ন স্থানে বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছে আটশ জনেরও বেশি।
বন্দুক সহিংসতা ঠেকাতে ক্রমবর্ধমান আলোচনার মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটলো। হামলার নিন্দা জানিয়ে, বন্দুক নীতিমালা প্রণয়ণের আহ্বান জানিয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। হামলার নিন্দা জানিয়ে, হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীতে নাগরিকদের অস্ত্র রাখার অধিকার নিশ্চিত করা আছে। এ নিয়ে দেশটির সমাজ-রাজনীতি দুই ভাগে বিভক্ত। তবে গণহারে গুলির ঘটনা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে সংস্কার আনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের তেমন প্রভাবিত করেনি। মঙ্গলবারের হামলার পর এ নিয়ে কথা বলেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতা বন্ধ করতে না পারার জন্য বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টিকেই দায়ি করছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আন্তর্জাতিকভাবেও বিষয়টি বিব্রতকর বলে জানান তিনি।
গত কয়েক বছরে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এভাবে নির্বিচারে গুলির ঘটনা মার্কিনীদের অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিচ্ছে। হামলাকারিদের বেশিরভাগই কিশোর বা তরুণ। এর আগে ২০১৮ সালে, ফ্লোরিডার একটি স্কুলে হামলার ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৭ জন।
https://www.facebook.com/bbsbangla.news/videos/1077565876516438