fbpx

ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়েতে যুক্ত হবে বাংলাদেশ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

পদ্মা সেতু রেলসংযোগের ফলে রাজবাড়ীর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের যোগাযোগ স্থাপন হবে। এখান থেকে কোচ ও ওয়াগন মেরামত করে সারা দেশে চালানো সম্ভব হবে। প্রতিটি জেলায় রেলসংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ সংযুক্ত হবে। ফলে পুরো এশিয়ার সঙ্গে আমাদের রেল যোগাযোগের পথ তৈরি হবে। নতুন করে রেল ব্যবস্থা গড়ে তোলারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর রেলভবনে রাজবাড়ীতে কোচ ও ওয়াগন মেরামতবিষয়ক একটি ওয়ার্কশপ নির্মাণের কনসালট্যান্ট নিয়োগের চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের রেলওয়েতে দুই ধরনের গেজ ব্যবস্থা বিদ্যমান। মিটার গেজ ও ব্রডগেজ। মিটার গেজকে পর্যায়ক্রমে আমরা ব্রড গেজে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছি। উন্নত বিশ্বে সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হিসেবে রেলওয়ে যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে আমাদের রেল ব্যবস্থা এখনো সেভাবে গড়ে তুলতে পারিনি। আমাদের দেশে রেল ব্যবস্থা এখনো ডিজেলচালিত অথচ পার্শ্ববর্তী ভারতে প্রায় পুরোটা বিদ্যুচ্চালিত ট্রেন।

রেলপথমন্ত্রী বলেন, রাজবাড়ীতে এ কারখানা করার ফলে আমাদের বহরের বিদ্যমান ও ভবিষ্যতে যে কোচ? ও ওয়াগন যুক্ত হবে তা এখান থেকে মেরামত করতে পারব। অনেক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। সরকারের অগ্রাধিকার ১০টি প্রকল্পের মধ্যে দুটি রেলওয়েতে চলমান আছে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার, পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্প। ভারতের সঙ্গে আটটি ইন্টার সেকশন পয়েন্টের মধ্যে পাঁচটি চালু করা হয়েছে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং যাতায়াত সহজ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কলকাতা-শিলিগুড়ির মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু আছে। আমাদের দেশের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করার জন্য পর্যায়ক্রমে সব সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইনে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছি। জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী, খুলনা থেকে দর্শনা, ঈশ্বরদী থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত ডাবল লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

ফ্রান্সের সিস্ট্রা কোম্পানি রাজবাড়ীর ওয়ার্কশপ নির্মাণের কাজ করবে। আগামী ১৬ মাসের মধ্যে তারা বিস্তারিত নকশাসহ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিড ডকুমেন্ট প্রস্তুত করবে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদারসহ রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে চুক্তি সই করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ কুদরাত ই খুদা এবং কনসালট্যান্টের পক্ষে সই করেন সিস্ট্রার সাউথ এশিয়াবিষয়ক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারি সোমাল রাজু।

Advertisement
Share.

Leave A Reply